কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মো. আলী আশরাফ। ৪৮ বছর ধরে নির্বাচন করছেন। সর্বশেষ গতকাল রোববার তিনি কুমিল্লা-৭ (বরুড়া) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন। এ নিয়ে তিনি ১০টি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হলেন। এর মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে দুবার, আওয়ামী লীগ থেকে আটবার। একবার স্বতন্ত্র ও তিনবার আওয়ামী লীগ থেকে জয়ী হন তিনি। কুমিল্লার ১১টি সংসদীয় আসনের মধ্যে তিনিই একমাত্র বয়োজ্যেষ্ঠ প্রার্থী।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০০০ সালে কিছুদিন ডেপুটি স্পিকারের দায়িত্ব পালন করেন আলী আশরাফ। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনা সম্পাদকও ছিলেন তিনি। বর্তমানে তিনি কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে জানা গেছে, ১৯৭০ সালে মো. আলী আশরাফ স্বতন্ত্র নির্বাচন করে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রমিজউদ্দীনের কাছে পরাজিত হন। ১৯৭৩ সালের ৭ মার্চের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মো. আলী আশরাফ স্বতন্ত্র নির্বাচন করে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রমিজউদ্দীনকে ৫ হাজার ৭৯০ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে প্রথমবার জয়ী হন। ১৯৭৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি আলী আশরাফ আওয়ামী লীগ (মালেক পক্ষ) থেকে নির্বাচন করে তৎকালীন বিএনপির প্রার্থী রেদোয়ান আহমেদের কাছে ৬ হাজার ৩৭৫ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন। ১৯৮৬ সালের ৭ মে তিনি প্রথমবারের মতো নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে জাতীয় পার্টির প্রার্থী রেদোয়ান আহমেদের কাছে ৪৬ হাজার ২৯৮ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন।
আলী আশরাফ ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে স্বতন্ত্র প্রার্থী রেদোয়ান আহমেদের কাছে ৫৪৮ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন। ১৯৯৬ সালের ১২ জুনের নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে বিএনপির প্রার্থী রেদোয়ানকে ৩৬৬ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে সাংসদ নির্বাচিত হন। ২০০১ সালের ১ অক্টোবরের নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী রেদোয়ান আহমেদের কাছে ৪৮ হাজার ১১৯ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে আলী আশরাফ বিএনপির প্রার্থী খোরশেদ আলমকে ৫ হাজার ৫৭০ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে সাংসদ হন। ওই নির্বাচনে রেদোয়ান এলডিপি থেকে নির্বাচন করে তৃতীয় হন।
চান্দিনা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তপন বকসী বলেন, আলী আশরাফ কুমিল্লা অঞ্চলের বয়োজ্যেষ্ঠ নেতা। সারা জীবন তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে আসছেন। এবারও তিনি জিতবেন।
কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক ও চান্দিনা মহিলা কলেজের সাবেক উপাধ্যক্ষ নির্মল দাস বলেন, ‘আশরাফ ভাই অবিভক্ত কুমিল্লা জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ছিলেন। তিনি ১৯৭০ সাল থেকে নির্বাচনের মাঠে আছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ পাস করেছেন। আশা করি, এই জনদরদি নেতা এবারও জিতবেন।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ সাহাজুল ইসলাম
Leave a Reply