১২ এপ্রিল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হচ্ছে দেশের সব সিনেমা হল। বুধবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করে এমন সিদ্ধান্তই জানালেন প্রদর্শক সমিতির নেতারা।
প্রদর্শক সমিতির সভাপতি ইফতেখার নওশাদ বুধবার দুপুরে চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, সিনেমা হল টিকিয়ে রাখার জন্য পর্যাপ্ত কনটেন্ট (সিনেমা) নেই। দীর্ঘদিন ধরে লোকসান গুনতে গুনতে হলের মালিকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। সেজন্য ১২ এপ্রিল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য দেশের সব সিনেমা হল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলন উপস্থিত ছিলেন প্রদর্শক সমিতির উপদেষ্টা সুদিপ্ত কুমার দাস, মিয়া আলাউদ্দিন, সভাপতি ইফতেখার নওশাদ প্রমুখ।
প্রদর্শক সমিতির পক্ষ থেকে দুই উপদেষ্টা সুদীপ্ত দাস ও মিয়া আলাউদ্দিন জানান, দুরাবস্থা কাটাতে দায়িত্বশীলদের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করা হয়েছে। কিন্তু তারা সুনির্দিষ্ট সিনেমা হলগুলোকে বাঁচানোর কিংবা দেশের ছবির উৎপাদন বাড়ানোর এবং উপমহাদেশের ছবি আমদানির বাঁধা-নিষেধ অপসারণে কোনো কার্যকর পথ নির্দেশ দেয়নি।
সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সিনেমা হল ১২৩৫ থেমে ১৭৪-এ নেমে এসেছে। দেশের ছবি নির্মাণের সংখ্যা বছরে ৩৫-৪০-এ এসে ঠেকেছে। আমদানির ছবি এলে পরিচালক-শিল্পীদের রোজগার কমে যাবে এই অযুহাত দেয়া হচ্ছে। সিনেমা হলের সঙ্গে ৫০ হাজার শ্রমিক জড়িত বেকার হয়ে আছে। প্রতিনিয়ত বাড়ছে হল ভাড়া, বিদ্যুৎ বিল। নতুন বিনিয়োগ ও মেধা সম্পন্ন নির্মাতা আসছে না। এর সমাধান কী?
যখন থেকে ছবি আমদানি করা হচ্ছে তখন থেকে প্রদর্শক সমিতিকে আশ্বাস দেয়া হচ্ছে, ভালো নির্মাতা আসছেন, দেশের চলচ্চিত্র ঘুরে দাঁড়াবে। তার উদাহরণ এখন সিনেমা হল সংখ্যা ১৭৪ আর ছবি মুক্তির সংখ্যা বছর ৩৫। এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য বহু দিন প্রদর্শক সমিতি চুপ ছিল, কিন্তু আর নয়।
অনেক ধৈর্য্যের পর প্রদর্শক সমিতি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য আগামী ১২ এপ্রিল থেকে সারাদেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখা হবে দেশের সব সিনেমা হল। সরকার যদি এদিকে নজর না দেন, তবে এই অবস্থা চলতে থাকবে।
অন্যদিকে প্রদর্শক সমিতির সভাপতি নওশাদ জানান, দেশের সব হল এই নির্দেশনার অন্তর্ভুক্ত থাকলেও স্টার সিনেপ্লেক্স ও যমুনা ব্লকবাস্টার এই নির্দেশনার অন্তর্ভুক্ত নয়।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply