১৬ কোটি মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনা হবে : ড. কামাল

১৬ কোটি মানুষকে ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে যা যা করণীয় তা করবেন বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন।

মঙ্গলবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় গণতন্ত্রের মানসপুত্র হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর পুত্র রাশেদ সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুতে গণফোরাম আয়োজিত  শোক সভায় তিনি এ সব কথা বলেন।

কামাল হোসেন বলেন, গত ৩০ ডিসেম্বর ভোটের নামে যা ঘটেছে তা প্রহসন। অনেকেই বলেছেন এটা নাটক। এটা দুঃখজনক। কেনো এ সব করতে হবে? তিনি বলেন, নির্বাচনের পর দিন বলা হলো আমরা ৫ বছর ক্ষমতায় থাকবো। ১৬ কোটি মানুষকে অপমান করা হয়েছে। এটা মেনে যায় না। তাই আমাদের যা করণীয় তা অন্তত করবো মানুষেল ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে।

জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, যারা কারাগারে আছেন তাদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন ছাড়া মুক্ত করা যাবে না। আজকে যারা ক্ষমতায় আছেন তাদের মধ্যে সেই মনুষ্যত্ব নেই।

তিনি বলেন, ১৬ কোটি মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। কেউ প্রতিবাদ করল না। এটা কি শুধু কোন রাজনৈতিক নেতা করবে, কোন রাজনৈতিক দল করবে? এটা হয় না। তিনি বলেন, এক লাখ মানুষ কারাগারে আছেন। তাদের মুক্ত করতে আসুন ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করি।

সদ্য কারামুক্ত ব্যারিস্টার মঈনুল ইসলাম বলেন, আমলাতান্ত্রিক সহযোগিতায় মানুষের ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। আসলে এটা নিজেরা নিজেদের বঞ্চিত করেছে। এটা স্বাধীন দেশের মানুষের জন্য লজ্জার।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক এ উপদেষ্টা বলেন, রাজনীতি এখন ব্যবসা হয়ে গেছে। দেশের রাজনীতি শেষ হয়ে গেছে।

তিনি বলেন, অবসরপ্রাপ্ত আমলাদের রাজনীতিতে নেয়া হয় না। এখানে পুলিশও জড়িত হয়েছে৷ তারা দেশের মানুষ পেটায়। আজকে তারা মনে করে তাদের ছাড়া ড. কামালরা কি দেশ চালাতে পারবে? এখন দেশে যা চলছে তা আমলাতান্ত্রিক। শেখ হাসিনার কিছু করার নেই।

রাশেদ সোহরাওয়ার্দীর লাশ দেশে না আনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার রাশেদের মরদেহটা দেশে আনতে পারতো। কেনো যে আনা হলো  না, খুব কষ্ট হচ্ছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেন, দেশে উদার গণতন্ত্র অনুপস্থিত। রাজনীতির নামে এখন হচ্ছে হিংসা, বিদ্বেষ। সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, দেশের কল্যাণে আসুন রাজনৈতিক হিংসা ভুলে গিয়ে একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে রাজনীতি করি।

ড. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে শোক সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন গণফোরামের কার্যকরি সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু, প্রেসিডিয়াম সদস্য মোকাব্বি খান, আমসা আমিন, জগলুল হায়দার আফ্রিকসহ আরও অনেকে।

অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম