উদ্ধার হওয়া দুই জেলে রাশেদুল ইসলাম ও জয়দেব মণ্ডল জানান, এক সপ্তাহ আগে কদমতলা বন অফিস থেকে বৈধভাবে পাস নিয়ে তাঁরা সুন্দরবনে কাঁকড়া শিকার করতে যান। ১৩ মে রোববার দুপুরে সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের মালঞ্চ নদসংলগ্ন দুনে খালে কাঁকড়া শিকার করার সময় বনদস্যু কাজল বাহিনীর পরিচয়ে তাঁদের আটক করে একদল লোক। পরে জনপ্রতি ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণের দাবি করা হয়। অপহৃত জেলেদের বাড়িতে এ খবর দেওয়ার জন্য একজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জ থেকে মুক্তিপণের দাবিতে অপহৃত ১৩ জেলের মধ্যে সাত জেলেকে উদ্ধার করেছে র্যাীপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যা ব-৮)। গতকাল সোমবার রাত ১০টার দিকে ওই জেলেদের সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের মালঞ্চ নদসংলগ্ন তুশখালী এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় কোনো বনদস্যু বাহিনীর সদস্যদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি র্যালব।
উদ্ধার হওয়া জেলেরা হলেন সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের মথুরাপুর গ্রামের রাশেদুল ইসলাম (২৮), একই গ্রামের বিশ্বনাথ সানা (২৮), বিষ্ণু মণ্ডল (২০), জয়দেব মণ্ডল (২৫), পরিতোষ মণ্ডল (২৪), মাছুম বিল্লাহ গাজী (২৩) ও দক্ষিণ কদমতলা গ্রামের রমেশ মণ্ডল (২০)।
বন বিভাগ সাতক্ষীরা রেঞ্জের কদমতলা স্টেশন কর্মকর্তা নাসির উদ্দীন জানান, গত রোববার সাতজনের পাশাপাশি গতকাল আরও ছয় জেলে অপহরণের শিকার হয়েছেন। ওই ছয়জনকেও বনদস্যু কাজল বাহিনীর পরিচয়ে সুন্দরবনের মালঞ্চ নদ থেকে অপহরণ করা হয়েছে।
বরিশাল র্যালব-৮-এর সহকারী পুলিশ সুপার মুকুর চাকমা জানান, সাত জেলে অপহৃত হওয়ার খবর পেয়ে তাঁরা গতকাল সকাল থেকে অভিযান শুরু করেন। রাত ১০টার দিকে মালঞ্চ নদের তুশখালী এলাকায় দুটি ট্রলার যেতে দেখে র্যাুব সদস্যরা দ্রুত ওই দিকে অগ্রসর হতে থাকলে ট্রলার থেকে অপহৃত জেলেদের নামিয়ে দিয়ে সুন্দরবনের মধ্যে পালিয়ে যায়। পরে ওই জেলেদের উদ্ধার করা হয়। গতকাল রাত ১২টার দিকে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য মো. বকুল হোসেনের উপস্থিতিতে উদ্ধার হওয়া জেলেদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
শুধু গ্রেফতার কিংবা সাজার মাধ্যমে এই জলদস্যুদের সুপথে ফিরিয়ে আনা যাবে না। এজন্যে দরকার প্রয়োজনীয় কর্মসংস্থান এর ব্যবস্থা।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এস এস
Leave a Reply