অভিনব কায়দায় নিউমার্কেট পোস্ট অফিস থেকে এক ব্যক্তির প্রায় পাঁচ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি চক্র। সিসিটিভির ফুটেজে স্পষ্ট ছবি থাকার পরও এক মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে অপরাধীরা।
সরেজমিনে পোস্ট অফিসে গিয়ে দেখা যায় এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রতিষ্ঠানে নেই কোনো নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পুলিশ বলছে, সংঘবদ্ধ একটি চক্রের এমন অপরাধের আরও তথ্য পাওয়া গেছে। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা বলে জানিয়েছেন নিউমার্কেট থানার ওসি।
সঞ্চয়পত্র কেনার উদ্দেশ্যে ২৪ ডিসেম্বর বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে নিজের চার লাখ ৭০ হাজার টাকা নিয়ে নিউমার্কেট পোস্ট অফিসে যান রানা।
সিসি টিভির ফুটেজে দেখা যায়, রানা টেবিলে টাকার প্যাকেটটি রাখার পর, আগে থেকে সেখানে বসে থাকা তিন ব্যক্তি কৌশলে তাকে টাকার প্যাকেটটি থেকে রানাকে দূরে সরিয়ে দেয়। পরে একটি ফাইল দিয়ে প্যাকেটটি আড়াল করে। এরপর আর এক মুহূর্ত সময় না দিয়ে অদৃশ্য হয়ে যায় তিনজনই।
নিউমার্কেট পোস্ট অফিসে প্রতিদিনই লাখ লাখ টাকার লেনদেন হচ্ছে কিন্তু নিরাপত্তায় নেই কোনো বাড়তি আয়োজন। নিরাপত্তার চিত্র বলতে আছে শুধু তিনটি সিসি ক্যামেরা। পুলিশ আনসারতো দূরের কথা নেই নিজস্ব কোনো নিরাপত্তা ব্যবস্থাও।
এ বিষয়ে সাব-পোস্ট মাস্টার মো. নুরুল আমিন বলেন, ‘আমরাতো সেই লোককে চিনি না। সেই লোক বাইরে বসেছে ছিলো। আমরা কী করে বুঝবো, ওই লোক কী কাজে আসছে।
নিরাপত্তার নাজুক অবস্থা কেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, নিরাপত্তার ব্যবস্থা-তো কর্তৃপক্ষ করবে। আমরাতো চাই সিকিউরিটি দিক। কিন্তু শুধু আমাদের কোনো অফিসেই স্পেশাল কোনো সিকিউরিটি নাই।
এদিকে ভিডিও ফুটেজে পোস্ট অফিসের সাবেক এক কর্মচারীর সন্দেহভাজন চলাফেরার কারণে তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার সম্পৃক্ততা থাকতে পারে বলে ধারণা তাদের। তবে সংঘবদ্ধ এই চক্রের তিনজনকে শনাক্ত করা হলেও এখনো গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।
ভুক্তভোগী ব্যক্তি জানান, ‘আমার কষ্টের টাকা গেছে। আমার মতো যেন আর কোনো ভাইয়ের, কোনো গ্রাহকের না হয়, আমি সেটাই চাই।’
নিউ মার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, গ্রেফতারকৃতের কথাবার্তায় তাদের সাথে তার যে একটা সখ্যতা এটা স্পষ্ট বোঝা যায়। এটা আসলে একটা চক্র।
অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতারের পাশাপাশি এ ধরনের আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা বাড়ানোর তাগিদ ভুক্তভোগীদের।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply