বাংলাদেশকে বিভিন্ন সময় অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন আমাদের দেশের সোনার সন্তানেরা। তাঁরা বিভিন্ন অবদানে গর্বিত করেছেন আমাদের, গৌরবান্বিত করেছেন দেশকে। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হলেন প্রফেসর ইউনূস।
প্রফেসর মোহাম্মদ ইউনূস ব্রিটিশদের ইতিহাসের এক মাত্র নন ব্রিটিশ ব্যাক্তি । যিনি কোনো ব্রিটিশ ইউনিভার্সিটির চ্যান্সেলর হয়েছেন। আজ পর্যন্ত ব্রিটিশ ছাড়া অন্য কোনো জাতির মানুষকে তারা চ্যান্সেলর করে নাই। ব্রিটিশরা তাদের ইতিহাস ভেঙে আমাদের প্রফেসর ইউনূস কে সন্মান দেখিয়েছে। Glasgow Caledonian University তাকে এই সম্মাননা দেয় ।
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস (জন্ম: ২৮ জুন, ১৯৪০) বাংলাদেশী নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ব্যাংকার ও অর্থনীতিবিদ। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের একজন শিক্ষক। তিনি ক্ষুদ্রঋণ ধারণার প্রবর্তক। অধ্যাপক ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা। মুহাম্মদ ইউনূস এবং তার প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংক যৌথভাবে ২০০৬ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেন। তিনি প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে এই পুরস্কার লাভ করেন। ইউনূস বিশ্ব খাদ্য পুরস্কার সহ আরও জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ করেছেন।
মুহাম্মদ ইউনূস ১৯৭৬ সালে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেন গরিব বাংলাদেশীদের মধ্যে ঋণ দেবার জন্য। তখন থেকে গ্রামীণ ব্যাংক ৫.৩ মিলিয়ন ঋণগ্রহীতার মধ্যে ৫.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ প্রদান করে। ঋণের টাকা ফেরত নিশ্চিত করার জন্য গ্রামীণ ব্যাংক “সংহতি দল” পদ্ধতি ব্যবহার করে। একটি অনানুষ্ঠানিক ছোট দল একত্রে ঋণের জন্য আবেদন করে এবং এর সদস্যবৃন্দ একে অন্যের জামিনদার হিসেবে থাকে এবং একে অন্যের উন্নয়নে সাহায্য করে। ব্যাংকের পরিধি বাড়ার সাথে সাথে গরিবকে রক্ষা করার জন্য ব্যাংক অন্যান্য পদ্ধতিও প্রয়োগ করে। ক্ষুদ্রঋণের সাথে যোগ হয় গৃহঋণ, মৎস খামাড় এবং সেচ ঋণ প্রকল্প সহ অন্যান্য ব্যাংকিং ব্যাবস্থা।
গরিবের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গ্রামীণ ব্যাংকের সাফল্য উন্নত বিশ্ব এমন কি যুক্তরাষ্ট্র সহ অন্যান্য শিল্পোন্নত দেশসমূহকে গ্রামীণের এই মডেল ব্যবহার করতে উদ্ভুদ্ধ হয়। তাঁর এই অসামান্য সম্মান দেশকে গৌরবের পথে আরো এক ধাপ এগিয়ে নিলো।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এস এস
Leave a Reply