নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে সন্ত্রাসী হামলার পর দেশটিতে অস্ত্র আইনে পরিবর্তন আসছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডান।
স্থানীয় সময় শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান। এ সময় তিনি ক্রাইস্টচার্চে হামলাকারীর পরিচয় প্রকাশ করেন। হামলাকারীর নাম ব্রেনটন টেরেন্ট। ২৮ বছর বয়সী অস্ট্রেলিয়ার এই নাগরিক দুবছর ধরে নিউজিল্যান্ডের ডানিডিনে বসবাস করছেন।
গতকাল দুপুর দেড়টার দিকে জুমার নামাজের সময় নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে সন্ত্রাসী হামলা চালায় এক অস্ত্রধারী। এতে ৪৯ জন ইসলাম ধর্মালম্বী নারী-পুরুষ ও শিশু নিহত হন। আহত হয়েছেন আরও ৪৮ জন। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা সংকটাপন্ন। নিহতদের মধ্যে আল নূর মসজিদে প্রাণ হারান ৪১ জন। আর লিনউডের মসজিদে মারা যান আটজন। নিহতদের তালিকায় নাম আছে তিন বাংলাদেশিরও।
শান্তির দেশ হিসেবে পরিচিত দেশটির এমন হামলার ঘটনায় বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠে। বর্বরোচিত এই হামলার পর দেশটিতে অস্ত্র আইনে পরিবর্তনের কথা ভাবছে নিউজিল্যান্ড।
নিউজিল্যান্ড প্রধানমন্ত্রী বলেন, হামলার সময় হামলাকারীর কাছে বৈধ অস্ত্র ছিল। এ কারণে হামলায় ব্যবহৃত গুলি কিনতে তাকে কোনো সমস্যায় পড়তে হয়নি।
জেসিন্ডা আর্ডান বলেন, ‘প্রধান হামলাকারীর কাছে একটি লাইসেন্স ও পাঁচটি বন্দুক দেখা গেছে। লাইসেন্সটি তিনি গত নভেম্বর মাসে পেয়েছেন। হামলায় পাঁচটি বন্দুক ব্যবহার করা হয়েছে যার দু’টি আধা-স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র। এর মাধ্যমে একটি জিনিস পরিষ্কার যে আমাদের অস্ত্র আইন পরিবর্তন হবে।’
এর আগে সংবাদ সম্মেলনে বারবার এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন নিউজিল্যান্ড প্রধানমন্ত্রী।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ জয় রহমান
Leave a Reply