৬ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংলাপ করবে ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট’। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যেসব দল অংশ নিয়েছে তাদের সবাইকে সেই সংলাপে আমন্ত্রণ জানাবে তারা। তবে নিবন্ধন বাতিল হওয়া জামায়াতে ইসলামীর কাউকে সেই সংলাপে আমন্ত্রণ জানানো হবে না।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠক শেষে এই কথা জানান ঐক্যফ্রন্ট নেতা ও জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব। রাজধানীর মতিঝিলে ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের চেম্বারে ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠক হয়। বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এ বৈঠক চলে।
বৈঠকে ঐক্যফ্রন্টের প্রধান শরিক বিএনপির পক্ষ থেকে কোনো প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন না। এ বিষয়ে ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে বলা হয়, বিএনপির আলাদা দুটি বৈঠক থাকায় তারা ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠকে উপস্থিত হতে পারেনি। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান পথে যানজটে আটকে যাওয়ায় তিনি আসার আগেই বৈঠক শেষ হয়ে যায়। আর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শারীরিক অসুস্থতার কারণে আসতে পারেননি।
বৈঠক শেষে জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, গত ৩০ ডিসেম্বর যে নির্বাচন হয়েছে তাতে জনগণের অংশগ্রহণ ছিল না। এই নির্বাচন বাতিলের দাবিতে ঐক্যফ্রন্ট আন্দোলন চালিয়ে যাবে। আন্দোলনে সব মানুষের অংশগ্রহণের অংশ হিসেবে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ, অবস্থান কর্মসূচি পালনের কথাও ভাবছে ঐক্যফ্রন্ট।
আবদুর রব বলেন, এসব কর্মসূচি ছাড়াও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলার প্রক্রিয়াও চলছে। সারা দেশে ভোটের সময় যেসব অনিয়ম, কারচুপি, ভোট জালিয়াতি হয়েছে সেগুলোর আলোকে নির্বাচনী ট্রাইবুনালে মামলা করা হবে।
জামায়াতে ইসলামীকে ঐক্যফ্রন্ট থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে কি না জানতে চাইলে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না ও জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, জামায়াতে ইসলামী ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে ছিল না। এখনো নেই। আর জাতীয় সংলাপেও জামায়াত থাকছে না।
এদিকে গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসীন মন্টু বলেন, জামায়াত ঐক্যফ্রন্টের অংশ নয়। তারা ছাড়া এই নির্বাচনে যে সব দল অংশ নিয়েছে তাদের সবাইকে জাতীয় সংলাপে আমন্ত্রণ জানানো হবে।
Leave a Reply