সিরাজগঞ্জের নলকা সেতু বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম পাড়ে সিরাজগঞ্জের ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কের ওপর নলকা সেতুটি ঢাকা-উত্তরাঞ্চলগামী বাস চালক ও যাত্রীদের কাছে দুর্ভোগের সেতু হিসেবে পরিচিত। সেতুটির দুই পাশে প্রতিবছরই দুই ঈদে বিড়ম্বনায় পড়ছেন যাত্রীরা। রোজার ঈদের আগেও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি। গত কয়েক বছর থেকে ঈদের সময় সেতুর ওপরিভাগে মেরামত কাজের কারণে দুই পাড়ে ৪-৫ ঘণ্টা করে আটকে থাকতে হয় ঢাকা ও উত্তরাঞ্চলগামী যাত্রীদের।
জানা যায়, সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জের নলকায় ফুলঝোর নদীর ওপর আশির দশকে নির্মিত এ ‘নলকা সেতুটি’র নিচে পশ্চিমের একটি স্প্যানে গত বছর ফাটল দেখা দেয়। ফুলঝোর নদী থেকে অবৈধভাবে যত্রতত্র বালি উত্তোলন ও ওপরিভাগে যানবাহনের চাপে ভঙ্গুর সেতুটি বর্তমানে বেশ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। গত বছর সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে দুই পাড়ে সাইনর্বোড টানিয়ে দেয় সওজ।
এরপরও ঝুঁকি নিয়ে এর ওপর দিয়ে চলছে ঢাকা ও উত্তরাঞ্চলগামী যানবাহন। সেতুর ওপরে জয়েন্ট স্প্যানগুলোও পুরাতন, ভঙ্গুর। রোজার ঈদের আগে-পরে এ সেতুটি ভুগিয়েছে ঢাকা ও উত্তরাঞ্চলগামী যাত্রীদের। কোরবানির ঈদেও একই আশঙ্কা করছেন যাত্রীরা।
সড়ক ও জনপথের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম পিকে বলেন, ‘প্রতিবছরই বিশেষ করে ঈদের আগে বিটুমিন ও পাথরের মিশ্রণ দিয়ে জয়েন্ট স্প্যানগুলোর ওপরে শক্ত প্রলেপ দেওয়া হয়। কিন্তু, কিছুদিন না যেতেই যানবাহনের চাপে তা উঠে যায়। মাছ পরিবহনকারী ট্রাকের পানি পড়ে রোদে ফুলে ওঠে। সেতুটি সেকেলে। জয়েন্ট স্প্যানগুলোর উপরের ফাঁকা স্থানের পরিমাণও বেশি।
যানবাহনের চাপে বিটুমিন ও পাথরের বন্ডিং ফাঁকা স্থান দিয়ে সহজেই নিচে পড়ে যায়। কয়েকদিন আগে ফুলে ওঠা অংশ তুলে ফেলা হয়েছে। ঈদের আগে মেরামত শুরু করা হলে দুপাড়ে যানজট আগের মতো হতে পারে বলে জানান তিনি।’
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply