আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘উচ্চ আদালতের রায়ের পরে বিএনপির নির্বাচনে যাওয়া নিয়ে সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে। আওয়ামী লীগের কোন প্রার্থী যদি এই রায়ের আওতায় পরে তারাও নির্বাচন করতে পারবেন না।’
বুধবার এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।
এর আগে ওবায়দুল কাদের বিএনপির মনোনয়ন প্রদান অনুষ্ঠানে বলেন, তাদের দলীয় মহাসচিবের কান্নাই প্রমাণ করে তারা জনবিচ্ছিন্ন। তাদের জনপ্রিয়তা শূন্যের কোঠায়।
তিনি এ সময় আরও বলেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে দলছুট নেতাদের ভিড়িয়ে বিএনপির ভাঙ্গা হাট জমেনি, বরং দূর্বল হয়েছে ও জনসমর্থন কমেছে।
ওবায়দুল কাদের মঙ্গলবার দুপুরে জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে তার নির্বাচনী এলাকা নোয়াখালী-৫ আসনের মনোনয়নপত্র জমাদান শেষে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, শুধু নোয়াখালীতে নয়, সারা দেশেই নৌকার জোয়ার বইছে। দলছুট ও জনবিচ্ছিন্ন নেতারা যতই বিএনপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে অপতৎপরতা চালাক, কোন লাভ হবে না। তারা তাদের ভাঙ্গা হাট আর জমাতে পারবে না।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপির নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগের দাবী বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনের ১ মাস আগে এ ধরনের দাবির অর্থ হল নির্বাচন নয়, নির্বাচন বানচাল করা।
ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে তিনি বলেন, তিনি গতকাল দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে শো-ডাউন করে নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্গন করেছেন। কিন্তু আমি তা করিনি। আমি আমার ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার করে এখানে এসেছি। সরকারী কোন কিছুই ব্যবহার করিনি। এটা কি লেভেল প্লেইং ফিল্ড নয়?
ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামী ৩০ ডিসেম্বরে নৌকা ভাসতে ভাসতে বিজয়ের মাসে বিজয়ের বন্দরে পৌঁছাবে।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply