মঙ্গলবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে কেন্দ্রীয় ১৪ দলীয় জোটের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলেন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪-দলীয় জোটের মুখপাত্র এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, যাঁরা বঙ্গবন্ধুর কথা বলেন, মুজিব কোট এখনো পরে থাকেন, তাঁরা বঙ্গবন্ধুর খুনিদের সঙ্গে, খুনিদের পৃষ্ঠপোষকদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন। এর বিচার ৩০ ডিসেম্বর জনগণ দিয়ে দেবে। এই ‘বর্ণচোরাদের’ বিরুদ্ধে ভোট দিয়ে জনগণ প্রমাণ করে দেবে, তাদের সঙ্গে দেশের জনগণ নেই।
ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠন ও হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্যপরিষদের সঙ্গে আজ বৈঠক করে কেন্দ্রীয় ১৪ দলীয় জোট।
মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের, কিন্তু যাঁরা আওয়ামী লীগকে ত্যাগ করে ‘মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে’ যোগ দিয়েছেন, এটা আওয়ামী লীগের দুর্ভাগ্য কিনা, সাংবাদিকের এমন প্রশ্নে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, এটি আমাদের দুর্ভাগ্যের ব্যাপার না। জাতির দুর্ভাগ্য। যাঁরা বিপক্ষে যোগ দিয়েছেন, তাঁদেরই দুর্ভাগ্য। আওয়ামী লীগের দুর্ভাগ্য নয়।
বৈঠক সম্পর্কে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ১৪ দল ও উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধা এবং হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের নেতারা আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তির বিজয় নিশ্চিত করার জন্য মাঠে-ময়দানে কাজ করবে। ১৪ দলের ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী ১৪ ডিসেম্বর থেকে বা তার আগে ডিসেম্বর মাসের শুরু থেকে বিজয় মঞ্চের কাজ শুরু হবে। সবাই মিলে সম্মিলিতভাবে সারা দেশের জেলা-উপজেলায় বিজয় মঞ্চ স্থাপন করা হবে। বিজয় মঞ্চে বিজয়ের গান হবে। বঙ্গবন্ধুর কথা হবে। স্বাধীনতার ইতিহাসের কথা হবে। আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনার বিজয়ের জন্য দলের লড়াই-সংগ্রামের কথা বলা হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিম বলেন, ১৪ দলের একটি নির্বাচনী প্রচার কমিটি হয়েছে। এই কমিটির সঙ্গে সংগতি রেখে মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠন ও অন্যান্য সংগঠনের একটি কমিটি করা হবে। এই কমিটি প্রয়োজনে প্রতিটি জেলা, উপজেলায় গিয়ে কাজ করবে।
নির্বাচন কমিশনের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, যখনই দেশে নির্বাচন আসে, তখনই একটি অপশক্তি দেশের সংখ্যালঘুদের ভয়ভীতি দেখানোর চেষ্টা করে। অনেক সময় আঘাত করার চেষ্টা করে। এ ব্যাপারে ইসিকে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, নির্বাচনী প্রক্রিয়া যেহেতু শুরু হয়ে গেছে, এখন থেকে সংখ্যালঘু ভাই-বোনদের নিরাপত্তা দিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বলা হয়েছে। নির্বাচনের সময়, নির্বাচনের পরে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
নির্বাচনের সময় বিভিন্নভাবে সংখ্যালধুদের উপর কিছুটা চাপ নেমে আসে। যার কারণে অনেক সময় বাজে পরিস্থিতিতে পড়তে হয় এই জনগোষ্ঠীকে। এদের নিরাপত্তা নিশ্চতি করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ সাহাজুল ইসলাম
Leave a Reply