জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় হাই কোর্টের দেওয়া ১০ বছরের সাজার রায়ের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালতে আপিলের আবেদন করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
সেখানে সাজার রায় স্থগিতের পাশাপাশি খালেদা জিয়ার জামিন চেয়েছেন তার আইনজীবীরা।
বিএনপি চেয়ারপারসনের আইনজীবী কায়সার কামাল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “হাই কোর্টের ১৭৭ পৃষ্ঠার রায়সহ প্রায় তিনশ পৃষ্ঠার লিভ টু আপিল ফাইল করা হয়েছে। শিগগিরই শুনানি হবে বলে আশা করি।”
বিদেশ থেকে জিয়া এতিমখানা ট্রাস্টের নামে আসা দুই কোটি ১০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এ মামলার রায়ে গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আদালত খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিলে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে কারাগারে পাঠানো হয়।
জজ আদালতের ওই রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার আপিল এবং দুদকের তরা রিভিশন আবেদনের শুনানি করে গত ৮ নভেম্বর রায় দেয় বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাই কোর্ট বেঞ্চ। তাতে খালেদা জিয়ার সাজা পাঁচ বছর থেকে বাড়িয়ে ১০ বছর করা হয়।
অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সেদিন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, খালেদা জিয়া ছিলেন এ মামলার মুখ্য আসামি। অন্য আসামিদের যেখানে ১০ বছরের সাজা হয়েছে, মুখ্য আসামি তার চেয়ে কম সাজা পেতে পারেন না।
অন্যদিকে খালেদা জিয়ার অন্যতম আইনজীবী সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দীন খোকন সেদিন বলেছিলেন, সাজা বাড়ানোর সিদ্ধান্তে তারা ‘হতবাক’, খালেদা জিয়া কোথাও ন্যায়বিচার পাননি।
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুদকের এই মামলা দায়ের করা হয়েছিল ২০০৮ সালে, জরুরি অবস্থার মধ্যে।
দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শেষে জজ আদালতের রায়ে খালেদা জিয়াকে ‘ক্ষমতায় থেকে অর্থ আত্মসাতের মাধ্যমে অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গের’ কারণে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
মামলার অপর পাঁচ আসামি খালেদা জিয়ার বড় ছেলে বিএনপির জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, সাবেক মুখ্য সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান, সাবেক সাংসদ কাজী সালিমুল হক কামাল এবং ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদের প্রত্যেককে দশ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply