কুড়িগ্রামে বন্যায় কবলিত মানুষের চরম দূর্ভোগের মাঝেও কিস্তির টাকা না নিয়ে এলাকা ছাড়ে না বিভিন্ন এনজিও মাঠকর্মীরা।জেলা প্রশাসনকে বন্যাকালিন সময়ে ঋণ কার্যক্রম স্তগিদ রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েও সেকথা মানছেন না প্রতিষ্ঠানগুলো।
কুড়িগ্রাম সদর ও উলিপুর উপজেলার বন্যা কবলিত এলকায় সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় বেশকিছু সংগঠনের মাঠকর্মীরা জোরপূর্বক কিস্তি আদায় করছে।
সদর উপজেলার হলোখানা ইউনিয়নের ভেরভেরী বাঁধে আশ্রয় নেয়া আনজু বেগম জানান, ‘‘বাহে বন্যাত ভাসি যাবার নাগছি। মাসে তিনশ টাকা সুদোত এক হাজার টেকা নিয়া নৌকা ভাড়া করি ছওয়া-পওয়াক নিয়া কাইল রাস্তাত উঠছং। ইয়েতে ৫শ’ টেকা গেইছে। বাকী টেকা দিয়া বাজার করমো কি কিস্তির লোক আসি চিনা জোকের মতো ধরছে। টেকা ছাড়া ছাড়ে না। এ্যালা হামরা কোটে যামো।’’
উলিপুরের বেশকয়েকজন বলেন,কিস্তি বুলি আসচে মুই কইছং টেকা দিবের পাবার নং। মোক খাঁইয়ো ধার দিবের চায় না। কামাই নাই। মুই এ্যালা টাকা পাং কোটে।উপায় না পায়া দুইটা বাঁশ বেছাইছি। সে টাকাও নেয় না। পরে একজনের কাছে হাওলাত নিয়ে কিস্তির টাকা দিলং।
এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মোঃ হাফিজুর রহমান জানান, বেশ কয়েকটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ঋণ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তাদেরকে বন্যাকালিন সময়ে কার্যক্রম বন্ধ রাখার জন্য বলা হয়েছে। জেলা এনজিও বিষয়ক সভায় তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল মানবিকতা চিন্তা করে এসময় তারা কিস্তি তোলার কার্যক্রম বন্ধ রাখবে। কিন্তু তারা যদি মানুষের দুর্ভোগের মধ্যে এমন কাজ করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply