রুবেল সদার, বাবুগঞ্জ প্রতিনিধিঃ বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলায় প্রতাবপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে থাকা সহকারী প্রধান শিক্ষক আবু হানিফের কর্তৃক পঞ্চম শ্রেণি ও চতুর্থ শ্রেণির একাধিক ছাত্র-ছাত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিদ্যালয়ে নিয়মিত না আসা ও পড়া না পারার কারনে প্রতাবপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্যাতনের এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। গত ২৬ জুলাই প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে থাকা সহকারী শিক্ষক আবু হানিফ কর্তৃক পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র মাছুম জোমাদ্দার
এর পুত্র ফাহিমকে ক্লাসরুমে বসে বেধরক পিটিয়ে আহত করে। পেটানোর একপর্যায়ে ফাহিম মেঝেতে লুঠিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে । এ প্রসঙ্গে ফাহিমের দাদা কামাল হোসেন জোমাদ্দার বলেন ‘ ওই শিক্ষক আমার নাতীকে মারতে মারতে মেঝেতে ফেলে দেয়। বার বার ক্ষমা চেয়ে রক্ষা হয় নাই তার। আমার পুত্রবধু অসুস্থ থাকায় দুই দিন স্কুলে আসতে পারেনি ফাহিম। তাই আমি স্কুলে এসে ফাহিমকে স্যারের হাতে তুলে দিয়েছিলাম তবু কেন থাকে এরকম নির্য়াতন করা হলো । এর আগেও ঐ শিক্ষক কর্তৃক পঞ্চম শ্রেণির সৌরভ, জান্নাতুল ফেরদাউস ও তৃতীয় শ্রেণির রাজনকে পেটানোর অভিযোগ পাওয়া যায়। এই ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকালে স্কুলে
বিক্ষুব্ধ অভিভাবকদের তোপের মুখে পড়েন তিনি। পরে ক্ষমাপ্রার্থনা করে রক্ষা পান। তাৎক্ষনিক এসএমসির সভাপতি ও এলাকার গন্যমান্য নিয়ে শিক্ষক আবু হানিফ তার অন্যায়ের কথা অকপটে স্বিকার করেন। উপস্থিত অভিভাবকদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের কাজ আর করবেন না অঙ্গিকার করেন। এলাকার একাধিক অভিভাবকের কাছে জানা যায়- ওনি মূলত প্রধান শিক্ষক নন। নিয়োগ প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে ওনি যোগদান করতে দেননি। প্রভাব ঘাটিয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন
করছেন। এ বিষয়ে বিদ্যালয়টির এসএমসির সভাপতিসামছুল হক জোমাদ্দার এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শিক্ষার্থী নির্যাতন একটি অপরাধ। ‘ কেনো এ ধরণের অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটেছে তা আমরা অবশ্যই খতিয়ে দেখবো। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রীদের শারীরিক নির্যাতন না করার নির্দেশনা রয়েছে’। আমরা বিষয়টি জেনেছি এবং তাৎক্ষনিক ভাবে সুরাহা করার চেষ্টা করেছি। ভবিষ্যতে তিনি এ রকম আচরন আর করবেন না জানিয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। তিনি আরো বলেন- ভবিষ্যৎে যদি এ রকম ঘটনা ঘটান তাহলে আমরা আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য থাকিব।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply