আইয়ুব বাচ্চুকে হারিয়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে সংগীতাঙ্গনসহ সমগ্র শোবিজে। নানা অঙ্গনের তারকারা ছুটে যাচ্ছেন হাসপাতালে। শোকে মুহ্যমান বাচ্চুর ভক্ত-অনুরাগীরাও। ফেসবুকে চলছে শোকের মাতম। তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও। এরই মাঝে প্রয়াত ব্যান্ড তারকার প্রতি অন্যরকম ভালো লাগার বহিঃপ্রকাশ ঘটল মেডিকেলের প্রাঙ্গনে এক তরুণের আহাজারিতে।
‘কে আর আমারে বাজান কইয়া আদরের ডাক দিবো। বাজান, কেমনে তুমি আমাগোরে ছাইড়া যাইতে পারলা।’ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় স্কয়ার হাসপাতালের লবিতে আইয়ুব বাচ্চুর ঘনিষ্ঠ এক বন্ধুকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে কাঁদতে এ কথাগুলো বলছিলেন এক তরুণ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওই তরুণের নাম রনি। আইয়ুব বাচ্চু ফ্যান ক্লাবের এডমিন। প্রয়াত আইয়ুব বাচ্চু তাকে আপন ছেলেমেয়ের মতো আদর করতেন।
কাঁদতে কাঁদতে রনি জানায়, গত পরশু মোবাইলে জানিয়েছিলেন পরবর্তী শো ট্টগ্রামে। ক্লাস ওয়ানে যখন পড়তেন তখন থেকে এবি’র (আইয়ুব বাচ্চু) ফ্যান। তার গান শুনে বড় হয়েছেন। ২০১২ সালে সরাসরি দেখা হলে ফ্যান পরিচয় পেয়ে বুকে জড়িয়ে নেন সঙ্গীত জগতের এই কিংবদন্তি। এরপর থেকে এবির কোনো কনসার্ট মানে সেখানে ছুটে যাওয়া। সর্বশেষ রংপুরে কনসার্ট শুনতে যান তিনি।
সকালে প্রিয় শিল্পীর মৃত্যুর খবর শুনে প্রথমে বিশ্বাস হয়নি তার। পরে ঘনিষ্ট একজনের কাছে জেনে নিশ্চিত হয়ে হাসপাতালে ছুটে আসেন।
স্বজনেরা জানান, সকালে বাসায় হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। সকাল সোয়া নয়টার দিকে তাকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। ৯টা ৫৫ মিনিটে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
এমন রনি কেবল একজন নয়। নব্বই শতকের সকল তরুণের মনে স্থায়ী জায়গা করে রেখেছেন আইয়ুব বাচ্চু। সেই শ্রদ্ধা, সম্মান এবং ভালোবাসার জায়গা থেকে কেউ তাকে কখনো বিচ্যুত করতে পারবে না।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ মোঃ মোস্তফা কামাল
Leave a Reply