নুরুল বশর মানিক, কক্সবাজার প্রতিনিধিঃ কক্সবাজারের টেকনাফ হ্নীলার জাদীমোড়া এলাকার নাফনদী সীমান্তে বিজিবির সাথে কথিত বন্ধুকযুদ্ধে দুই ইয়াবাকারবারী নিহত ও তিন বিজিবি সদস্য নিহত হয়েছে। এসময় ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র, গুলি ও ইয়াবা উদ্ধার করেছে বিজিবি। নিহতরা হলেন, চাঁদপুর জেলার চরমুকুন্দী এলাকার মোঃ রেজোয়ান সওদাগরের পুত্র মোঃ আসমাউল সওদাগর (৩৫), যশোর জেলার কোতয়ালী থানার অন্তর্গত বসুন্দিয়া এলাকার মোঃ জাব্বার আলীর পুত্র মোঃ জাবেদ মিয়া (৩৪)।
সংঘটিত এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে টেকনাফ ২ বিজিবি অধিনায়ক লে.কর্ণেল ফায়সাল হাসান খান জানান গোপন সংবাদে জানতে পারি একটি ইয়াবার বড় চালান মিয়ানমার হতে বাংলাদেশে প্রবেশ করবে। সেই গোপন সংবাদের তথ্য অনুযায়ী ১৬ জুলাই রাত ৮টার দিকে বিজিবি সদস্যরা হ্নীলা জাদিমোড়া সংলগ্ন সিকলপাড়া এলাকায় একটি গোপন জায়গায় অবস্থান নেয়। এরপর মাদক পাচারকারীরা বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে কোন কিছু না বুঝার আগেই এলোপাতাড়ী গুলিবর্ষন শুরু করে। আত্মরক্ষার্থে বিজিবি
সদস্যরাও পাল্টা গুলি চালালে পাচারকারীরা পিছু হটে পালিয়ে যায়। এরপর ঘটনাস্থল তল্লাশী করে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ২ ব্যক্তিকে পড়ে থাকতে দেখে তাদেরকে উদ্ধার করে টেকনাফ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তার উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। সেখানে দুইজনকে মৃত ঘোষণা করা হয়। তিনি আরো জানান এসময় উক্ত ঘটনায় বিজিবি ৩ সদস্য
আহত হয়েছে। তারা হচ্ছে, সিপাহী মতিউর রহমান, ইমরান হোসেন ও মোঃ রেজাউল। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ১০ হাজার ইয়াবা, ১টি দেশীয় তৈরী অস্ত্র ও ৩ রাউন্ড তাজা কার্তুজ। লাশ ২টির ময়না তদন্ত রিপোর্ট তৈরী করার জন্য টেকনাফ থানা পুলিশকে হস্তান্তর করা হয়েছে। বিজিবি অধিনায়ক অভিমত প্রকাশ করে আরো বলেন, মাদক পাচারে জড়িত অপরাধীরা এখনো সক্রিয় রয়েছে। তারা বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে চালিয়ে যাচ্ছে মাদক পাচার। পাশাপাশি সীমান্ত প্রহরী আমাদের বিজিবি সদস্যরাও সজাগ রয়েছে। মাদক পাচার প্রতিরোধে বিজিবি অভিযান অব্যাহত আছে এবং থাকবে বলে জানান তিনি।
Leave a Reply