হাদীস: হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, মক্কা বিজয়ের সময় রাসূলেপাক (সাঃ) মক্কাতে এসে খানায়ে কা’বার দ্বার রক্ষক হযরত ওসমান বিন তালহাকে কাবা ঘরের দরজা খোলার জন্য বললেন। অতঃপর দরজা খোলা হলে নবী করীম (সাঃ) উসামা ইবনে যায়েদ এবং ওসমান বিন তালহা কা’বা ঘরের মধ্যে প্রবেশ করলেন।
তারপর দরজা বন্ধ করে দেয়া হল। রাসূলেপাক (সাঃ) কা’বা ঘরের মধ্যে কিছুক্ষণ অবস্থান করলেন। তারপর সবাই বের হয়ে আসলেন। আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা)বলেন, আমি তাড়াতাড়ি করে তাদের কাছে গেলাম।
অতঃপর হযরত বেলাল (রা) কে জিজ্ঞেস করলাম। রাসূলেপাক (সাঃ) এতক্ষণ কা’বা ঘরের মধ্যে কি করেছেন তখন হযরত বেলাল (রা) বললেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) কা’বা ঘরের মধ্যে নামায পড়েছেন। তখন আমি পুনরায় তাকে জিজ্ঞেস করলাম, রাসূলেপাক (সাঃ) কোন দিকে ফিরে নামায আদায় করেছেন।
আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা) বলেন, রাসূলেপাক (সাঃ) কত রাকাত নামায আদায় করেছেন। এ প্রশ্ন জিজ্ঞেস করতে আমি ভুলে গিয়েছিলাম।
রাতে নফল নামায পড়ার নিয়ম:
হাদীস: হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী করীম (সাঃ) মিম্বরে বসা ছিলেন, এমন অবস্থায় এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (সাঃ) কে প্রশ্ন করলেন। রাতের নামায কিভাবে আদায় করব।
উত্তরে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বললেন, দু’ দু’ রাকাত করে নামায আদায় করবে। নামায পড়তে পড়তে যদি কেউ মনে করে যে, ভোর হয়ে গিয়েছে। তবে সে শেষ দু’রাকাতের সাথে আর এক রাকাত বাড়ায়ে পড়ে নিবে। তা হলো উক্ত নামায তার সকল নামাযকে বে-জোড় করে দিবে।
আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা) আরো বলেন, তোমরা তোমাদের রাতের শেষ নামাযকে বে-জোড় হিসেবে আদায় করবে। কেননা নবী করীম (সাঃ) রাতের শেষে নামাযকে বে-জোড়ভাবে আদায় করার জন্য আদেশ করেছেন।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি : / শাকিল আহমেদ মোহন
Leave a Reply