১৭ মে রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ীর মেয়র হানিফ উড়ালসড়কের ওপর শ্রাবণ সুপার ও মনজিল নামের দুটি বাসের রেষারেষির মধ্যে শ্রাবণ বাসের চাপায় নাজিম উদ্দিন নিহত হন। এ ঘটনায় ওই দিন সন্ধ্যায় যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা করেন নাজিম উদ্দিনের ভায়রা আবদুল আলিম। মামলায় সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
নাজিম উদ্দিন সেদিন সকালে যাত্রাবাড়ী থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে যাচ্ছিলেন গুলিস্তান। মেয়র হানিফ উড়ালসড়কে উঠতেই মঞ্জিল ও শ্রাবণ পরিবহনের দুটি বাসের প্রতিযোগিতার মুখে পড়েন তিনি। শ্রাবণ পরিবহনের বাসটি নাজিমের মোটরসাইকেলটিকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে তিনি ছিটকে সেতুর সড়কে পড়ে যান। ওই সময় বাসটি তাঁর বুকের ওপর দিয়ে চলে যায়।
এবার বাসের চাপায় নিহত ঢাকা ট্রিবিউনের বিজ্ঞাপন বিভাগের জ্যেষ্ঠ নির্বাহী নাজিম উদ্দিনের (৪১) পরিবারকে কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এ রুল দেন।
স্বরাষ্ট্রসচিব, সড়ক পরিবহন সচিব, বিআরটিএ, বিআরটিসি, শ্রাবণ পরিবহন, মনজিল পরিবহন কর্তৃপক্ষসহ বিবাদীদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
যাত্রাবাড়ীর শ্যামপুর এলাকায় নাজিমের বাসা। তাঁর গ্রামের বাড়ি ভোলার লালমোহন উপজেলায়। দুর্ঘটনার পাঁচ দিন আগে দ্বিতীয় কন্যাসন্তানের বাবা হন তিনি।
সদ্য জন্ম নেয়া শিশুটি তার বাবাকে দেখতে পাবে না, বাবা বলে ডাকতে পারবে না কাওকে। এর চেয়ে করুণ দৃশ্য আর কী হতে পারে? তবু কী বাস চালকদের টনক নড়বে?
দুই মিনিট আগে যাওয়ার জন্য অসুস্থ এই প্রতিযোগিতা বন্ধ হোক, এটাই দাবী জনগনের।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এস এস
Leave a Reply