আফজাল মাহমুদ, খোকসা, (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি: সমৃদ্ধ আগামীর’ প্রত্যাশা সামনে রেখে আওয়ামী লীগের তৃতীয় মেয়াদের প্রথম বছরে ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকার বাজেট জাতীয় সংসদের সামনে উপস্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এটি অর্থমন্ত্রী হিসেবে তার প্রথম বাজেট। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তি কার্যক্রম আবার শুরু করার কথা বলা হয়েছে প্রস্তাবিত বাজেটে। অর্থবছরে শিক্ষার জন্য বাজেটে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৭৯ হাজার ৪৮৬ কোটি টাকা, যা মোট বাজেটের ১৫ দশমিক ২ শতাংশ। বিদায়ী অর্থবছরের মূল বাজেটে এই খাতে ৬৭ হাজার ৯৩৫ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হলেও সংশোধনে তা ৬৬ হাজার ২৭৩ কোটিতে নেমে আসে। শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে বরাদ্দের এই পরিমাণ দাঁড়ায় সংশোধিত বাজেটের ১৪ দশমিক ৯৭ শতাংশের সমান। শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে এবারের বরাদ্দ জিডিপির ২ দশমিক ৭৫ শতাংশের সমান, যা বিদায়ী অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে ২ দশমিক ৬১ শতাংশ ছিল। বাজেটে যে পরিমাণ বরাদ্দ দেওয়া হয়, তার অধিকাংশই চলে যায় বেতন–ভাতা ও অবকাঠামো খাতে। মোট বাজেটে অর্থ বাড়ায় শিক্ষা খাতে অর্থ বরাদ্দও বেড়েছে। কিন্তু বরাদ্দের হার সেভাবে বাড়েনি।
দীর্ঘদিন ধরেই শিক্ষা খাতের বরাদ্দের হার বাড়ানোর দাবি থাকলেও তা খুব একটা কাজে আসছে না। ফলে গুণগত শিক্ষার ক্ষেত্রে পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। ইউনেসকোর চাওয়া হলো, শিক্ষা খাতে বরাদ্দ হবে জাতীয় বাজেটের কমপক্ষে ২০ শতাংশ এবং জিডিপির ৬ শতাংশ। কিন্তু বাংলাদেশ এখনো সেই লক্ষ্যমাত্রা থেকে দূরে অবস্থা করছে। শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি সম্প্রতি জাতীয় প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠানে বলেছেন যে, পর্যায়ক্রমে বাজেটে শিক্ষা খাতে বরাদ্দের পরিমাণ জিডিপির ৪ শতাংশ করার পরিকল্পনা করেছে সরকার। অর্থবছরের বাজেটে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে ৩৭ হাজার ৭৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের জন্য বরাদ্দ ২৯ হাজার ৬২৪ কোটি টাকা।
৭ হাজার ৪৫৩ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের জন্য। এছাড়া প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২৪ হাজার ৪১ কোটি টাকা। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল অসুস্থ থাকায় বাজেট বক্তৃতার শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও মানবসম্পদ উন্নয়নসংক্রান্ত অংশটি পড়েন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জন্য একটি সুসংবাদ দিয়ে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার ওপর প্রথমে আলোকপাত করতে চাই। দীর্ঘদিন আমাদের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে নানাবিধ কারণে এমপিওভুক্তি কার্যক্রম বন্ধ ছিল। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এমপিওভুক্তি কার্যক্রমের জন্য এ বাজেটে প্রয়োজনীয় অর্থের জোগান রাখা হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা বিষয়ে তিনি বলেন, সংখ্যা নয়, মানসম্পন্ন প্রাথমিক শিক্ষায় আগামী দিনের অগ্রাধিকার। শিক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধির ওপর জোর দেয়ায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষায় ভর্তি ও লিঙ্গসাম্য অর্জনে ব্যাপক সাফল্য অর্জিত হয়েছে। আমাদের সামনে প্রধান চ্যালেঞ্জ প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়ন ও প্রায়োগিক শিক্ষার প্রসার ঘটানো।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
খবরটি যদি গুরুত্বপুর্ন মনে হয় তাহলে লাইক, কমেন্টস, শেয়ার করুন
Leave a Reply