কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের রাজাকারের সন্তান বলে মন্তব্য করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান বলেছেন, বঙ্গবন্ধু কোটা দিয়েছিলেন দেশের মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিষ্ঠিত করতে, নারীদের এগিয়ে নিতে এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষদের উন্নতির জন্য।
আমার আফসোস কোটা আন্দোলন রাজাকারদের সন্তানরা করতে পারে; কিন্তু মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা কেন কোটার বিরোধিতা করলো? তারাও গিয়ে কোটার সংস্কার চেয়ে আন্দোলনে যোগ দিলো। সেজন্যই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মনের মধ্যে কষ্ট নিয়ে কোটা বাতিল করেছিলেন। তবে তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের ফিরিয়ে দিবেন না।
সোমবার সন্ধ্যায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কনফারেন্স রুমে ২৫ মার্চের কালরাত্রি স্মরণে মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় তিনি আরো বলেন, যুদ্ধ হয়েছে ১৯৭১ সালের ৯ মাসব্যাপী কিন্তু সে মুক্তির সংগ্রাম শুরু হয়েছিল ১৯৪৭ সালে দেশবিভাগের পর। ধাপে-ধাপে বঙ্গবন্ধুর ক্যারিশম্যাটিক নেতৃত্বে ৭ কোটি মানুষকে এক কাতারে নিয়ে আসা হয়।
গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে তিনি সকল কিছু গুছিয়ে মুক্তির পথে এগিয়ে নিয়েছিলেন। যুদ্ধ শেষে এদেশে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা করার চেয়ে রাজাকারদের তালিকা করাটাই জরুরি ছিল। কারণ রাজকাররা সংখ্যায় ছিল মাত্র ১ শতাংশ।
সভায় মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের অর্ধশতাধিক সদস্যসহ আরো উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনন্দ কুমার সাহা, অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়া, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক লায়লা আরজুমান বানু, জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক ড. প্রভাষ কুমার কর্মকার, প্রক্টরসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply