নকআউট পর্বে বরাবরই ব্যর্থ ভারতের সময়ের সেরা ব্যাটসম্যান বিরাট কোহলি। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও আজ মাত্র এক রানেই ফিরে গেছেন ভারত অধিনায়ক।
তিনটা বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে বিরাটের স্কোর যথাক্রমে ৯,১,১। বিশ্বকাপের নকআউট স্টেজের ছয় ম্যাচে তার রান মাত্র ৭৩, গড় ১২!
২০১১ বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো নকআউট ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হন কোহলি। যেখানে ৩৩ বলে কোহলি করেন ২৪ রান। সে বিশ্বকাপের বাকি দুই নকআউট ম্যাচে যথাক্রমে পাকিস্তান ও শ্রীলংকার বিপক্ষে করেন ২১ বলে ৯ ও ৪৯ বলে ৩৫ রান।
অনেকেই জানেন, ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি ও সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার গৌতম গম্ভীরের সম্পর্কটা খুব একটা ভালো নয়। এবার সেই সম্পর্কে একটু ঘি ঢাললেন গম্ভীর নিজেই।
গম্ভীরের মতে, কোহলি অধিনায়ক হিসেবে তেমন কার্যকর নয়, শুধু মাত্র তার দলে মহেন্দ্র সিং ধোনি ও রোহিত শর্মা আছে বলেই তিনি সফল হচ্ছেন।
তিনি বলেন, ‘ধোনি ও রোহিত আছে বলেই বিরাট কোহলি একজন ভালো অধিনায়ক। যদি কোহলির অধিনায়কত্ব নিয়ে বলতেই হয়, আমি বলবো, যখন থেকে কোহলি অধিনায়ক হয়েছে, গত আট বছরে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু কোনো শিরোপা জিতেছে? বেশিরভাগ আসরেই আটে থেকেই শেষ করেছে।’
কোহলিকে নিয়ে তিক্ত মন্তব্য এবারই প্রথম নয় গম্ভীরের। আইপিএলের ঠিক আগে গম্ভীর সরাসরি কোহলিকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন, ‘আমি তাকে (কোহলি) কখনোই একজন দুর্দান্ত অধিনায়ক হিসেবে দেখি না। আমি তাকে কৌশলী অধিনায়কও ভাবি না। কারণ তার কোনো আইপিএল শিরোপা নেই। দিনশেষে একজন অধিনায়ক তার রেকর্ডের দ্বারাই পরিচিত।’
বিশ্বকাপ থেকে অহংকারী ভারতের করুণ বিদায়
আজকের ম্যাচে যে দল জয় পাবে সেই দল সরাসরি ফাইনালে চলে যাবে। এমন সমীকরণের ম্যাচে ভারতের সামনে ২৪০ রানের মামুলি লক্ষ্য দেয় নিউজিল্যান্ড। এই লক্ষ্য ক্রিকেটের পরাশক্তি ভারতের ব্যাটিং লাইনের কাছে কিছুই না। তবে এই রান তাড়া করতে নেমে হেরে যায় ভারত।
এই মামুলি লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইনিংসের শুরুতেই নিউজিল্যান্ডের বোলিং তোপে ভেঙ্গে পরে ভারতীয় ব্যাটিং লাইনআপ। রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি ও লোকেশ রাহুলের মত খেলোয়াররা দলীয় ৫ রানের প্যাভিলিয়নে ফিরে যায়। এই তিন টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান ৫ রানের মধ্যে করেন ৩ রান। যখন ৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পরে ভারত তখন ক্রিজে নেমে ধীর গতিতে খেলতে থাকেন দীনেশ কার্তিক।
এই ব্যাটসম্যান বিশ্বকাপের মত আসরে খেলতে নেমে যেন ফিরে গিয়েছিলেন টেস্ট ক্রিকেটে। ২০ বল খেলেও রান করতে পারেনি তিনি। তবে ২১তম বলে খুলেন রানের খাতা, ট্রেন্ট বোল্টকে চার মেরে। এরপরে দুই রান করেই প্যাভিলিয়নে ফিরে যায় কার্তিক। আউট হওয়ার আগে করেন ২৫ বলে ২ রান।
নিউজিল্যান্ডের বোলিং তোপে যখন কোণঠাসা ভারতের টপ অর্ডার। তখন দলের জন্য একাই লড়ে জান রিশাব প্যান্ত কিন্তু ইনিংস বড় করতে ব্যর্থ হন তিনি। দলীয় ৭১ রানে মিচেল স্যান্টনার বলে কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরে যায়। আউট হওয়ার আগে এই ব্যাটসম্যান ৫৬ বলে ৩২ রান করেন। এর কিছুক্ষন পরেই ৬২ বলে ৩২ রান করে আউট হয়ে যান হার্ডিক পান্ডিয়া।
এরপর দলের বিপদে হাল ধরে মহেন্দ্র সিং ধোনি ও রবীন্দ্র জাদেজা। ধোনি শুরু থেকেই খেলছেন দেখেশুনে আর জাদেজা খেলছে আক্রমণাত্মক। কিন্তু এই দুই ব্যাটসম্যানের ব্যাটিং নৈপুণ্যে খুব কাছে গিয়েও জিততে পারেনি ভারত।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ভারত: ২২১/১০ (৪৯.৩ ওভার)
নিউজিল্যান্ড: ২৩৯/৮ (৫০ ওভার)
ভারতের একাদশ: লোকেশ রাহুল, রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, ঋষভ প্লন্ট, এমএস ধোনি, দিনেশ কার্তিক, হার্ডিক পান্ডিয়া, রবীন্দ্র জাদেজা, ভুবনেশ্বর কুমার, চাহাল, জাসপ্রিত বুমরাহ।
নিউজিল্যান্ডের একাদশ: মার্টিন গুপটিল, হেনরি নিকোলস, কেন উইলিয়ামসন, রস টেলর, টম ল্যাথাম, জেমস নিশাম, কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম, মিচেল স্যান্টনার, লকি ফার্গুসন, ম্যাট হেনরি, ট্রেন্ট বোল্ট।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ জয় রহমান
Leave a Reply