সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে সৌদি রাজতন্ত্র এ যাবত কালের সবচেয়ে দুঃসময় পার করছে আর এই প্রতিকূল পরিস্থিতিকে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য সৌদি বাদশা সালমান সপ্তাহব্যাপী সৌদি আরবের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন স্থানে সফর করার উদ্যোগ নিয়েছেন। সৌদি সরকারের একজন উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য দিয়েছেন।
২০১৫ সালে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় জ্বালানী তেল উৎপাদনকারী দেশ সৌদি আরবের সিংহাসনে আরোহণ করার পরে ৮২ বছর বয়সী বাদশা সালমান এই প্রথম কোনো অভ্যন্তরীণ সফরের উদ্যোগ নিয়েছেন।
অনলাইন নিউজ সাইট সাবাকের বরাত দিয়ে জানা যাচ্ছে যে, এই সফরে বাদশা সালমান স্বাস্থ্য ও শিক্ষা সম্পর্কিত এবং কাঠামোগত কিছু উন্নয়নমূলক কাজের উদ্বোধন করবেন।
তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরে অবস্থিত সৌদি কনস্যুলেটে সাংবাদিক খাসোগি হত্যাকাণ্ডের পরে সৌদি আরব আন্তর্জাতিকভাবে বহুমুখী চাপের মধ্যে রয়েছে। আর এসব পরিস্থিতিকে কিছুটা প্রশমন করতে সৌদি বাদশা এই সফরের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে বিশ্লেষকদের ধারণা।
যদিও প্রাথমিকভাবে রিয়াদ খাসোগি হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেছিল কিন্তু তুর্কি সরকারের চাপের মুখে ১৮ জন সন্দেহ ভাজনকে গ্রেপ্তারের মাধ্যমে এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
তবে ক্রাউন প্রিন্স বিন সালমান, বাদশা সালমানের এই সফরে সফর সঙ্গী হবেন কিনা তা এখনো পর্যন্ত জানা যায় নি।
এদিকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান সাংবাদিক খাসোগিকে সৌদির উচ্চ পর্যায়ের ইশারায় হত্যা করা হয়েছে বলে মত প্রকাশ করেন। তবে তিনি এই হত্যাকাণ্ডের সাথে বাদশা সালমান জড়িত রয়েছেন বলে বিশ্বাস করেন না এমন মতও দিয়েছেন।
খাসোগি নিহত হওয়ার পরে রিয়াদ থেকে এ বিবৃতিতে বলা হয় যে, খাসোগি ‘ধ্বস্তা ধ্বস্তিতে মারা যান’ এবং তা ক্রাউন প্রিন্স বিন সালমানের অগোচরে হয়।
প্রসঙ্গত বাদশা সালমান সৌদি আরবের নীতি নির্ধারনীমূলক ব্যাপক ক্ষমতা ক্রাউন প্রিন্স বিন সালমানের হাতে সমর্পণ করেছেন, যিনি দেশটিতে ইতোমধ্যেই বিভিন্ন সামাজিক এবং অর্থনৈতিক সংস্কারে হাত দিয়েছেন। তবে হতাশার বিষয় হচ্ছে তিনি সৌদি আরবের বেশ কয়েকজন উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের আটক রেখেছেন এবং সর্বশেষ সাংবাদিক খাসোগি হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িয়ে নিজের ভবিষ্যৎকে শঙ্কাময় করেছেন।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডিঃ/ আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply