আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও খাদ্যমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক এমপি বলেছেন, ছেলেধরা কোথাও নেই, কোনো এলাকায় এর অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি। গুজব ছড়িয়ে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীরা একত্র হয়ে এই সরকারের পতন ঘটাতে পারবে না ইনশা আল্লাহ।
মেলান্দহের দুরমুঠে আমবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে শুক্রবার (২৬ জুলাই) দুপুরে বন্যার্তদের মাঝে আওয়ামী লীগের ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ড. আব্দুর রাজ্জাক।
খাদ্যমন্ত্রী আরো বলেন, পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুদ রয়েছে, যত ত্রাণ প্রয়োজন, দুর্গতদের দেয়া হবে। কাউকে না খেয়ে থাকতে হবে না। খাদ্যে বাংলাদেশকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে ধানের উৎপাদন বাড়াতে নতুন নতুন ধান আবিষ্কার করা হয়েছে। সেই ধানক্ষেত পানিতেও নষ্ট হবে না, এমনকি লবণাক্ত জমিতেও জন্মাবে। ফলে এখন দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। পানি নেমে গেলে কৃষকদের বিনা মূল্যে বীজ ও সার দেয়া হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান এমপি বলেছেন, ত্রাণের কোনো সংকট নেই, বন্যাদুর্গত এলাকাগুলোতে যেখানে যখন যা ত্রাণ লাগবে, সরবরাহ করা হবে। বন্যাকবলিত মানুষকে বন্যার হাত থেকে বাঁচাতে যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র নদী খনন ও রাস্তাসহ টেকসই বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ করা হবে। নদীতে পানি বাড়লে নদীর পানি নদীতে চলে যাবে। নদীর পানি উপরে উঠে বাড়িঘর, রাস্তাঘাটের ক্ষয়ক্ষতি ও মানুষ ভোগান্তিতে পড়বে না।
জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ কমিটির আহ্বায়ক ও মেলান্দহ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার কামরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন মির্জা আজম এমপি, অসীম কুমার উকিল এমপি, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক বেগম শামছুন্নাহার চাঁপা, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী ও সদস্য মারুফা আক্তার পপি, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মু. বাকী বিল্লাহ প্রমুখ।
কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ত্রাণ কমিটি জেলার ৬টি উপজেলায় ১০টি স্পটে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করে।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply