খাওয়া-দাওয়ার আগে আদার কুচি নুন দিয়ে খেলে বা সাদা বাংলায় যাকে আদা-নুন বলা হয় খেলে মুখে খাওয়ার রুচি আসে, খিদে বাড়ে। সেইজন্যে বলা হয়- ‘ভোজনাগ্রে সদা পথ্য আর্দ্রক লবণ মিশ্রিত’।
এইভাবে আদা খেলে খাবার তাড়াতাড়ি হজম হয়, কফ আর বায়ু রোগ হয় না, কণ্ঠ ও জিভের শুদ্ধি হয়।
আদার মোরব্বা, অবলেহ ও পাক তৈরি করা যায়। আদার সঙ্গে পাতিলেবুর রস মিশিয়ে আচার ও তৈরি করা হয়। শিশু, যুবক, বৃদ্ধ, সগর্ভা অর্থাৎ গর্ভবতী এবং প্রসূতা অর্থাৎ যাঁদের সদ্য বাচ্চা হয়েছে সকলেই আদা খেলে উপকার পাবেন।
আদা খেলে শরীরের কি কি উপকার হয় :
১। আদা মল পরিষ্কার করে, ভারী, উষ্ণ, খিদে বাড়ায়, তীক্ষ্ণ, পাকে মধুর, রুক্ষ, বায়ু ও কফ দূর করে।
২। হৃদরোগ ও শরীরের ভেতরের বায়ু ও আমাশা সারিয়ে তোলে।
৩। আদার রস শরীর শীতল করে, মধুর, তীক্ষ্ণ, এবং হার্টের পক্ষে ভাল।
৪। আদার কাজি বা পানীয় নুন মিশিয়ে পান করলে খাবার তাড়াতাড়ি হজম হয়, খিদে বেড়ে যায়, কোষ্ঠবদ্ধতা দূর হয় এবং আমাশা সারে।
৫। আাদর রস পাতিলেবুর রস ও নুন বা শুধু নুন মিশিয়ে খেলে মুখশুদ্ধি হয়-খিদে বাড়ে, রুচিকর, সায়ক অর্থাৎ বদ্ধ বায়ু মল নিঃসারণ করে, খেতে ভাল লাগে, বায়ু ও কফ নাশ করে –ফোলা কমিয়ে দেয়।
৬। ভোজনের আগে আদা-নুন সর্বদাই পথ্য। বিশেষত বর্ষা ও শীতে এই ভাবে আদা খাওয়া শরীরের পক্ষে হিতকর।
৭। আদা খেলে মুখে বেশি থুতু বা লালা উৎপন্ন হয়। এই লালা বা ইংরেজিতে স্যালাইভা খাবার হজম তাড়াতাড়ি করাতে সাহায্য করে-সেইজন্যে অরুচি ও অখিদে দূর করতে আদা খাওয়া বিশেষত খাওয়ার আগে জরুরী।
৮। আাদা শুধু খাদ্যরুচিই বাড়িয়ে দেয় তা নয় স্বরভঙ্গ, শ্বাসের কষ্ট বা হাঁপানি, কাশি, কোষ্ঠবদ্ধতা, কফ, বায়ু, ফোলা, মন্দাগ্নি সারিয়ে দেয় তা নয় – ধাতু ও বৃদ্ধি করে।
৯। কাশি ও হাঁপানি সারাতে আদার রসে মধু মিশিয়ে খাওয়া উচিত।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এস এস
Leave a Reply