নাটোর অফিসঃ আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে ভোট চাওয়ায় নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)মনির হোসেন ও গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সেলিম রেজাকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আগামী তিন দিনের মধ্যে তাদেরকে প্রত্যাহার করে ইউএনও এবং ওসি পদে নতুন করে পদায়নের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। ৬ মার্চ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব মোহাম্মদ শহীদুর রহমান স্বাক্ষরিত এক পত্রে তাদের প্রত্যাহারের নির্দেশ দেওয়া হয়।
সূত্র জানায়,সম্প্রতি দুটি অনুষ্ঠানে স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আনোয়ার হোসেনের ঘোড়া মার্কা প্রতীকে প্রকাশ্যে ভোট প্রার্থনা করেন। ওই দুটি অনুষ্ঠানে গুরুদাসপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মনির হোসেন এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সেলিম রেজাও ছিলেন। পরে আওয়ামীলীগ মনোনিত প্রার্থী জাহিদুল ইসলাম সরকার অনুষ্ঠানের বক্তব্য এবং ছবি দিয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করেন। সেই
অভিযোগের প্রেক্ষিতেই বুধবার নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় তাদের প্রত্যাহারের চিঠি সন্ধ্যায় ফ্যাক্সযোগে জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপার বরাবার পাঠিয়ে দেয়।
আওয়ামীলীগ মনোনিত প্রার্থী জাহিদুল ইসলাম সরকার বলেন,ইউএনও এবং ওসি স্থানীয় সংসদ সদস্যের সাথে বিদ্রোহী প্রার্থী আনোয়ার হোসেনের পক্ষে প্রকাশ্যে ভোট প্রার্থনা করেন। যা সরকারী কর্মচারী আইন পরিপন্থি। একজন সরকারী কর্মকর্তা কোন প্রার্থীর পক্ষে ভোট প্রার্থনা করতে পারে না। তাছাড়া নির্বাচনে তাদের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ রয়েছে। একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য আমি কমিশনে অভিযোগ করতে বাধ্য হয়েছি।
তবে ইউএনও মনির হোসেন তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,কোন অনুষ্ঠানে ভোট চাইছি বলে মনে হয়না। তাছাড়া আমার বিরুদ্ধে কি অভিযোগ দিয়েছে সেটাও আমার জানার বাহিরে। এখন নির্বাচন কমিশন যে সিদ্ধান্ত দিয়েছে সেটাই মেনে নিতে হবে।
গুরুদাসপুর, বড়াইগ্রাম এবং লালপুর উপজেলার রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন অফিসার আব্দুর রহিম বলেন, ইউএনও এবং ওসিকে প্রত্যাহারের একটি ফ্যাক্স বার্তা আমরা পেয়েছি। তবে তাদেরকে কি কারনে প্রত্যাহার করা হয়েছে সে বিষয়টি জানা নেই।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply