জনপ্রিয় সংগীত পরিচালক আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল ফেসবুকে লিখেছেন, “বন্ধুরা, সরকারের নির্দেশেই ২০১২ সালে আমাকে যুদ্ধ অপরাধীর ট্রাইব্যুনালের কাঠগড়ায় সাক্ষী হিসাবে দাঁড়াতে হয়েছিলো। সাহসিকতার সঙ্গে সাক্ষ্যপ্রমাণ দিতে হয়েছিলো ১৯৭১ এ ঘটে যাওয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলখানার গণহত্যার সম্পূর্ণ ইতিহাস। আর, ওই গণহত্যা থেকে বেঁচে যাওয়া ৫ জনের মধ্যে আমিও একজন। হত্যা করা হয়েছিলো একসঙ্গে ৪৯ জন মুক্তিযোদ্ধাকে। কিন্তু, এই সাক্ষীর কারণে আমার নিরপরাধ ছোট ভাই “মিরাজ” হত্যা হয়ে যাবে এ আমি কখনওই বিশ্বাস করতে পারিনি। সরকারের কাছে বিচার চেয়েছি, বিচার পাইনি। আমি এখন ২৪ ঘণ্টা পুলিশ পাহারায় গৃহবন্দী থাকি, একমাত্র সন্তানকে নিয়ে। এ এক অভূতপূর্ব করুণ অধ্যায়।
ইমতিয়াজ বুলবুল তাঁর অসুস্থতার মাঝেই ফেসবুক পোস্টে এসব কথা লিখেছেন। তার হার্টে ৮টি ব্লক ধরা পড়েছে। খুব শিগগিরই বাইপাস সার্জারি করাবেন তিনি।
মঙ্গলবার (১৫ মে) এক ফেসবুক পোস্টে এ তথ্য জানিয়ে সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন তিনি। তিনি আরো লিখেছেন, একটি ঘরে ৬ বছর গৃহবন্দি থাকতে থাকতে আমি আজ অসুস্থ। আমার হার্টে ৮ টি ব্লক ধরা পড়েছে, এবং বাইপাস সার্জারি ছাড়া চিকিৎসা সম্ভব না। এরইমধ্যে কাউকে না জানিয়ে আমি ‘ইব্রাহিম কার্ডিয়াক’-এর সিসিইউতে চারদিন ভর্তি ছিলাম।
প্রিয়বন্ধুরা, আগামী ১০ দিনের মধ্যে আমি আমার হার্টের বাইপাস সার্জারি করাতে প্রস্তুত রয়েছি। কোনো সরকারী সাহায্য বা শিল্পী, বন্ধু-বান্ধবের সাহায্য আমার দরকার নেই, আমি একাই যথেষ্ট (শুধু অপারেশন এর আগে ১০ সেকেন্ড এর জন্য বুকের মাঝে বাংলাদেশ এর পতাকা এবং কোরআন শরীফ রাখতে চাই) আর, তোমরা আমার জন্যে শুধু দোয়া করবে। কোনো ভয় নাই। তোমাদের, আ,ই,বুলবুল।”
আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল একাধারে গীতিকার, সুরকার এবং সংগীত পরিচালক। তিনি রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ সম্মান একুশে পদক, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এবং রাষ্ট্রপতির পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। ১৯৭১ সালে মাত্র ১৫ বছর বয়সে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন তিনি।
এমন গুণী শিল্পী এবং মুক্তিযোদ্ধার নীরব অসুস্থতার খবরে শোকএর ছায়া পড়েছে শিল্পাঙ্গনে। তার দ্রুত সুস্থতা কামনা করছেন শুভাকাঙ্ক্ষীরা।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এস এস
Leave a Reply