জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃ চাঁদা না পেয়ে একতরফাভাবে মনগড়া,মিথ্যা ও মানহানিকর সংবাদ প্রকাশ করে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে মর্যাদা ক্ষুন্নের অভিযোগে ডিজিটাল আইনে চার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ফজিলাতুন নেছা আইনুর নামের এক গৃহবধু। বৃহস্পতিবার জয়পুরহাট জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ‘খ’ অঞ্চল আমলী আদালতে ওই মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় অভিযুক্ত সাংবাদিকরা হলেন এমবি টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর আলম, এসটিভি বাংলার জেলা প্রতিনিধি সুলতান মাহমুদ, এশিয়ান টিভি’র জেলা প্রতিনিধি গোলাপ হোসেন ও মাইটিভি’র জেলা প্রতিনিধি বিপুল কুমার সরকার। মামলা সুত্রে জানা গেছে,জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার ইটাখোলা মহল্লার গৃহবধু ফজিলাতুন নেছা আইনুর। প্রায় ২৮ বছর আগে বিয়ে হয় মহল্লার রেজা আলম কাজলের সাথে। ঘরে তাদের এক ছেলে এবং এক মেয়ে আছে।
তাঁর স্বামী নেশাখোর হওয়ায় প্রায়ই তাকে নির্যাতন করত। শুধু ছেলে-মেয়ের কথা ভেবে আইনুর স্বামীর ঘর আঁকরে ছিল। কিন্তু গত ২৮ এপ্রিল রাতে তাঁর স্বামী মদ্যপ অবস্থায় তিন লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে আইনুরকে মারপিট করে ঘরে আবদ্ধ করে রাখে। খবর পেয়ে আইনুরের বড় বোন-ভগ্নিপতিসহ অন্য স্বজনরা ২৯ এপ্রিল খোঁজ নেওয়ার জন্য এলে কাজল এবং তাঁর লোকজন তাদেরও মারপিট করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এ ঘটনায় গত ২মে বৃহস্পতিবার আইনুর স্বামী কাজল ও তার ভাই-বোন সহ ৬ জনকে আসামী করে ক্ষেতলাল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতনের অভিযোগ এনে মামলা করেন। মামলার পর তা মিথ্যা প্রমাণ করার জন্য কাজল অভিযুক্ত সাংবাদিকদের শরনাপন্ন হয়।
পরে ওই সাংবাদিকরা গৃহবধু আইনুরের সাথে যোগাযোগ করে ৩০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। আইনুর তা দিতে অস্বীকার করলে অভিযুক্তরা তাঁর বিরুদ্ধে রিপোর্ট করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকী দেয়। পরে আসামী স্বামীর সহযোগীতায় অভিযুক্ত সাংবাদিকরা সম্পূর্ণ বানোয়াট ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে একতরফাভাবে প্রতিবেদন তৈরী করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। রিপোর্টে আইনুরের কোন বক্তব্যও নেওয়া হয়নি। এ ঘটনার পর গত মঙ্গলবার জয়পুরহাট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে আইনুর অভিযুক্ত সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ করে তাদের শাস্তিরও দাবি জানান। যা পরবর্তীতে বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদও প্রকাশিত হয়। মামলার আইনজীবী সেকেন্দার আলী মৃধা মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন বৃহস্পতিবার চার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তাঁর মক্কেল ফজিলাতুন নেছা আইনুর মামলা করেছেন। জয়পুরহাট জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ‘খ’ অঞ্চল আমলী আদালতের মাননীয় বিচারক তা আমলে নিয়ে আগামী ২৯ মে ধার্য তারিখ নির্ধারন করেছেন।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
খবরটি যদি গুরুত্বপুর্ন মনে হয় তাহলে লাইক, কমেন্টস, শেয়ার করুন
Leave a Reply