চীনের পূর্বাঞ্চলীয় উপকূলবর্তী অঞ্চলে আবারও আঘাত হেনেছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘লেকিমা’। এতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে অন্তত ৪৪ জন। তাছাড়া এখন পর্যন্ত নারী ও শিশুসহ আরও কমপক্ষে ১৪ জন নিখোঁজ রয়েছেন বলে দাবি কর্তৃপক্ষের। উদ্ধার কর্মীদের মতে, এবারের ঝড়ের তাণ্ডবে অন্তত ১০ লক্ষাধিক লোক গৃহহীন হয়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন।
এর আগে গত শনিবার (১০ আগস্ট) স্থানীয় সময় মধ্য রাতে দেশটির তাইওয়ান ও এর বাণিজ্যিক রাজধানী সাংহাইয়ের মধ্যবর্তী ওয়েনলিং শহরে আঘাত হানে টাইফুন ‘লেকিমা’। যদিও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কায় এরই মধ্যে উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলোতে ‘রেড অ্যালার্ট’ অর্থাৎ সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করেছে চীনা কর্তৃপক্ষ।
দেশটির আবহাওয়া অধিদপ্তরের মতে, প্রথমে ‘লেকিমা’ নামে ঝড়টিকে এটিকে সুপার টাইফুন বলে ধারণা করা হলেও স্থলভাগে আঘাত হানার কিছুক্ষণের মধ্যে তা নিজের শক্তি হারিয়ে কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়ে। উপকূলে আঘাত হানার সময় ঝড়টির গড় গতিবেগ ছিল প্রায় ১৮৭ কিলোমিটার।
চীনা রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ‘জিনহুয়া’ জানায়, পূর্বাঞ্চলীয় ওয়েনজু শহরের একটি বাঁধ ভেঙে মারাত্মক ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। ঘূর্ণিঝড়টি বর্তমানে নিজের শক্তি কমিয়ে জেজিয়াং প্রদেশের উপর দিয়ে ঝড় বয়ে যাচ্ছে। এরপর প্রায় ২০ লাখ অধিবাসীর শহর সাংহাইয়ের দিকে ঝড়টি অগ্রসর হতে পারে বলেও ধারণা করা হচ্ছে। তবে বাতাসের গতিবেগ বর্তমানে কিছুটা কম থাকায় প্রদেশটিতে তেমন কোনো বড় ধরনের ক্ষতি হবে না বলেও ধারণা করা হচ্ছে।
কর্তৃপক্ষের বরাতে ব্রিটিশ গণমাধ্যম ‘বিবিসি নিউজ’ জানায়, জরুরি উদ্ধার কর্মীরা বন্যা ও ভূমিধ্বসে আটকে পড়া গাড়ি চালকদের উদ্ধারে কাজ করে যাচ্ছেন। কেননা ব্যাপক ঝড়ে সড়কের পাশে থাকা গাছপালা ও বিদ্যুতের তার পড়ে পথঘাট বন্ধ হয়ে গেছে।
‘জিনহুয়া’র খবরে বলা হয়, চলতি বছর দেশটিতে নবমবারের মতো আঘাত হানল এমন শক্তিশালী টাইফুন। এবারের ঝরের তাণ্ডবে যেসব বৈদ্যুতিক লাইনগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে; তাতে প্রায় ২৭ লাখের মতো বাড়িঘরে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। কর্তৃপক্ষ জরুরিভিত্তিতে সেই সমস্যাগুলোকে নিরসনের পথ খুঁজছেন।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply