জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থীরা ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী লিজা কবীর সুইটিকে উত্ত্যক্ত ও হামলা করেছেন বলে অভিযোগ ওঠেছে।
বুধবার দুপুর সোয়া একটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সিঁড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, দুপুর একটার দিকে লিজা সিঁড়ি দিয়ে নামছিলেন। এ সময় ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ১২তম ব্যাচের সামিউল শাউন, ইউনুস কবীর (রাজীব), হাসানুজ্জামানসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে তাকে উত্ত্যক্ত করেন। এ সময় ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ করলে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থীরা নাইমুর রহমান, অঙ্কন বিশ্বাস, ফাবিহা হোসেন ও তাসফিয়া রাকার ওপর হামলা চালান। এ সময় ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষক ও সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক শামসুল কবীরসহ অন্যান্য শিক্ষক উপস্থিত হলেও সামিউল বাহিনী ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়ে মারধর অব্যাহত রাখেন। এসময় নাইমুর রহমান আহত হলে তাকে ন্যাশনাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অন্যদিকে, ইংরেজি বিভাগের চেয়ারম্যান ও শিক্ষার্থীরা একজোট হয়ে লিজা কবীর সুইটিকে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গিতে উত্ত্যক্ত ও অন্যান্য শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে উপাচার্য বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সামিউল তার সহযোগীরা দাবি করেন, তারা কাউকে উত্ত্যক্ত করেননি। তারা বলেন, ‘আমরা বন্ধুরা মিলে একটি মুভি নিয়ে আলোচনা করছিলাম। মেয়েটি ও তার সঙ্গে থাকা শিক্ষার্থীরা এ সময় পাশ দিয়ে যাচ্ছিল। তারা মনে করেছে আমরা হয়তো তাদেরকে উদ্দেশ্য করে বলেছি। তাই তাদের সাথে সামান্য কথা কাটাকাটি হয়েছে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক নূর মোহাম্মদ বলেন, ‘ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থীরা উপাচার্য বরাবর লিখিত অভিযোগ দিলে উপাচার্য প্রক্টরিয়াল বডিকে বিষয়টি সমাধান করার নির্দেশ দেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ জয় রহমান
Leave a Reply