একের পর এক নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ শোনা যাচ্ছিল জামালপুরের জেলা প্রশাসক আহমেদ কবীরের বিরুদ্ধে। এবার হয়তো এই গুঞ্জন সত্যি হতে চলছে। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে জেলা প্রশাসকের অনৈতিক কর্মের একটি ভিডিও। যা বর্তমানে জামালপুরের ‘টক অব দ্যা টাউন’।
ভিডিওটি খন্দকার সোহেল আহমেদ নামে একটি আইডি থেকে পোস্ট করা হলে মুহূর্তে ভাইরাল হয়। বর্তমানে মেসেজে মেসেজে ব্যাপক ছড়িয়ে পড়েছে ভিডিওটি।
৪ মিনিট ৫৮ সেকেন্ডের ভিডিওটিতে দেখা যায়, জেলা প্রশাসক আহমেদ কবীর তার অফিসের গোপনীয় কক্ষের বেডরুমে সানজিদা ইয়াসমিন সাধনা নামে এক নারী কর্মচারীকে জড়িয়ে ধরে চুমু খেতে খেতে ওই কক্ষের ইলেট্রিক লাইটের সুইচ অফ করছেন। এছাড়া ওই নারীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায়ও দেখা যায় তাকে। ফুটেজে দেখা গেছে সিএ এম-২ ক্যামেরায় এটি ধারণ করা হয়েছে। উল্লেখ্য জেলা প্রশাসকের নারী কেলেঙ্কারি নিয়ে র্দীঘদিন ধরে জামালপুরের নানা মহলে গুঞ্জন, কানাঘুষা চলছিল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা প্রশাসকের অধিনস্ত এক কর্মচারী জানিয়েছে বৃহস্পতিবার রাত ১২টায় ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর নিজেকে বাঁচাতে তার সাথে ঘনিষ্ঠ সর্ম্পকিত ঊর্ধ্বতন কর্মকতাসহ এক সাংবাদিক নেতা নিয়ে রাতভর মিটিং করেন। ভোর ৬টায় মিটিং শেষে উপস্থিতরা জেলা প্রশাসকের বাসভবন থেকে বেরিয়ে যান।
এ ব্যাপারে জামালপুরের জেলা প্রশাসক আহমেদ কবীরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের ম্যাসেঞ্জারে দেয়া ভিডিও তিনি দেখেছেন। সেটি ফেইক আইডি দাবি করে তিনি বলেন এসব সাজানো ঘটনা। ভেরিফাইড করা হবে। ওই ফুটেজ তার নয় দাবি করে তিনি বলেন, ভিডিওটি এখন আর অনলাইনে দেখা যায় না।
ভিডিও ভাইরাল হবার ঘটনা জানতে শুক্রবার সকালে জেলা প্রশাসকের বাসভবনে যান ইলেক্টনিক এবং প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়ার একদল সাংবাদিক। এ সময় তিনি মোবাইল ফোনে সাংবাদিকদের জানান, এ ব্যাপারে তিনি শুক্রবার জুমার নামাজের পর সার্কিট হাউজে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলবেন। সেখানে জানাবেন বিস্তারিত।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply