বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন চেয়ে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় করা আবেদন শুনানির জন্য গ্রহণ করেছে হাইকোর্ট।মামলাটি আদালতের কার্যতালিকায় আসবে। রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) জামিন আবেদনটি শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হলে এই নির্দেশ দেয় আদালত।
বিচারপতি ফরিদ আহমেদ ও বিচারপতি এএসএম আব্দুল মবিনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আবেদনটি কার্যতালিকায় আসলে শুনানি হবে বলে সিদ্ধান্ত দেয়।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে আইনজীবী ছিলেন- জয়নুল আবেদীন ও মাহবুব উদ্দীন খোকন। আর দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশিদ আলম খান।
এর আগে গত ৩ সেপ্টেম্বর এই মামলায় দ্বিতীয় বারের মত জামিন আবেদন করা হয়। গত ৩১ জুলাই এই মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
গত ৩০ এপ্রিল জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিচারিক আদালতের সাজার বিরুদ্ধে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার খালাস চেয়ে করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এ মামলায় বিচারিক আদালতের দেয়া অর্থদণ্ড আপিল শুনানিকালে স্থগিত করে এ মামলার যাবতীয় নথি ২ মাসের মধ্যে দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত। সেই আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২০ জুন মামলার নথি হাইকোর্টে এসে পৌঁছায়।
২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সাত বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকার অর্থদণ্ড দেন আদালত। পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পরিত্যক্ত কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক আখতারুজ্জামান এ রায় দেন।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও আর্থিক জরিমানা করা হয়।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply