র্যা বের পক্ষ থেকে বলা হয়, গত ১৪ মে রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জে অভিযান চালিয়ে চার জেএমবি সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব গোয়েন্দা অনুসন্ধান চালাতে থাকে। একপর্যায়ে র্যাব তথ্য পায়, নাশকতার পরিকল্পনা করতে মঙ্গলবার রাতে কয়েকজন জেএমবি সদস্য গোদাগাড়ীতে গোপন বৈঠক করবেন।
র্যাব-৫ এর একটি দল উপজেলার ফাজিলপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে খায়রুল ইসলাম ও সেলিম রেজাকে আটক করে। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অন্য তিনজনকে তাদের নিজ নিজ বাড়ি থেকে আটক করা হয়।
এভাবে রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) পাঁচ সদস্যকে আটক করেছে র্যাব। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে র্যাব রাজশাহীর একটি দল এই অভিযান চালায়।
আটক পাঁচ জঙ্গি হলো- রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার জাহানাবাদ গ্রামের খায়রুল ইসলাম (৪৮) ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার হাকিমপুর গ্রামের সেলিম রেজা (২৬), নরেন্দ্রপুর গ্রামের জিয়াউল হক ওরফে আকবর আলী (৩৯), নওশাদ আলী (৫০) এবং গোটাপাড়া গ্রামের সাকিল আহমেদ (৩৫)।
তাদের কাছ থেকে সাতটি জিহাদী বই, পাঁচটি মোবাইলফোন, আটটি সিমকার্ড, দুটি মেমোরি কার্ড, দুটি জাতীয় পরিচয়পত্র, একটি পাসপোর্ট এবং জিহাদী ছবি ও ভিডিওতে ভরপুর কম্পিউটারের একটি হার্ডডিস্ক জব্দ করা হয়েছে। সকালে র্যাব-৫ এর অধিনায়ক লে. কর্ণেল মাহাবুবুল আলম তার দফতরে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সবাই জেএমবিতে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। নতুন সদস্য সংগ্রহ এবং ইয়ানতের টাকা আদায় করতেন তারা।
লে. কর্ণেল মাহাবুবুল আলম বলেন, আবু সাঈদ নামের এক জেএমবি ক্যাডারের মাধ্যমে আটক পাঁচজন সংগঠনটিতে জড়িয়ে পড়েন। ধীরে ধীরে তারা সক্রিয় কর্মী হিসেবে দায়িত্বশীলদের আস্থাভাজন হয়ে ওঠেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জের নরেন্দ্রপুর এলাকায় দায়িত্বশীল কর্মী হিসেবে নিয়োজিত হয়েছিলেন নওশাদ।
জঙ্গিবাদের পথ থেকে যুব সমাজকে যত দ্রুত সম্ভব ফিরিয়ে নিয়ে আসতে হবে। তাদের বোঝাতে হবে, ধ্বংসের পথ কখনো শান্তি আনতে পারে না।
এজন্য সচেতন হতে হবে পরিবার পর্যায় থেকেই। সন্তান কোথায় যাচ্ছে, কী করছে, কাদের সাথে মিশছে, সেসব বিষয়ে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে মা-বাবাকে।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এস এস
Leave a Reply