ফাইনালে উঠলেই যেন বদলে যায় বাংলাদেশ,নয়ত ২ ওভারে ৩৪ রান দিয়ে কেউ হেরে যায়? আজকের ম্যাচ কে আপনি দূর্ভাগ্য বলবেন, নাকি ব্যর্থতা বলবেন,সেটা ঠিক করতে হবে আপনার নিজে থেকে। তবে আজকের ফাইনাল ম্যাচ হয়েছে ফাইনালের মত ই। ভারতের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপের বিপক্ষে বাংলাদেশের দরকার ছিল ১৮০ থেকে ২০০ রান করা কিন্তু বাংলাদেশ তার থেকে ২০-২৫ রান কম করে ২০ ওভারে সংগ্রহ করল ১৬৬ রান। ফাইনালে ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে এই রান নিয়ে আপনি যদি টক্কর দিতে চান তাহলে ম্যাচ টি হবে ক্রিকেটের অন্যতম সেরা এক ম্যাচ।
আজকের ম্যাচ টি ক্রিকেটের ভাষায় অসাধারণ হলেও বাংলাদেশের জন্য দুর্ভাগ্য ই বলা চলে। আজকের বাংলাদেশ বনাম ভারতের ম্যাচটি মুহূর্তে মুহূর্তে রং বদলেছে। কখনো ভারত এগিয়ে যায় তো কখনো বাংলাদেশ। বাংলাদেশের ১৬৬ রানের জবাবে ঝড়ো সূচনা করে ভারতের দুই ওপেনার শিখর ধাওয়ান ও রোহিত শর্মা। মাত্র ১৫ বলে তারা দুইজন তুলে নেন ৩২ রান। ঝড়ো খেলতে গিয়ে ফিরে যান শিখর ধাওয়ান।
এর একটু পরেই আউট হয়ে যান সুরেশ রায়না। ম্যাচে ফিরতে শুরু করে বাংলাদেশ। কিন্তু বেশীক্ষণ বাংলাদেশ কে ম্যাচে থাকতে দিলেন না রোহিত শর্মা ও লোকেশ রাহুল। তারা দুইজন ইচ্ছামত চার ছক্কা মেরে ১০ ওভারেই লক্ষ্যের অর্ধেক পূরণ করেন। ভারতের রান যখন ২ উইকেটে ৮৩ তখন রুবেলের বাউন্সার হুক করতে গিয়ে সাব্বিরের কাছে ধরা পড়েন লোকেশ রাহুল।
ম্যাচ আবারও জমে ওঠে। কিন্তু রোহিত শর্মা যেন ঠিক মত জমতে দিলেন না। তিনি তার ক্যারিয়ারের ১৪ তম টি টুয়েন্টি ফিফটি। ইনিংসের ১০ ওভার শেষ হলেও তখনও মাঠে বর্তমান ভারতের অন্যতম ভয়ংকর এই হার্ড হিটার। ১৪ তম ওভারে নাগিন ড্যান্সের স্রষ্টা নাজমুল ইসলাম অপু ফেরান রোহিত শর্মা কে। নাজসুল ইসলাম কে লং অন দিয়ে ছক্কা মারতে গিয়ে মাহমুদুল্লাহর তালুবন্দী হয়ে ড্রেসিংরুমে ফিরে যান রোহিত শর্মা।
ভারতের তখনও দরকার ৪০ বলে ৬৯ রান। কিন্তু পুরো ওভারের দৃশ্যপট পাল্টে যায় ১৮ তম ও ১৯ তম ওভারে। ৩ ওভারে দরকার ৩৫ রান। মুস্তাফিজ দিলেন মাত্র ১ রান, সাথে ওভারের শেষ বলে মনীষ পান্ডের উইকেট। ১২ বলে দরকার ৩৪ রান। ম্যাচ বাংলাদেশের হাতে। বোলিংয়ে আসলেন রুবেল। কিন্তু আরও একবার হতাশ করলেন তিনি।
আগের ওভারগুলো তে ভালো করা রুবেলের ওভারে দিনেশ কার্তিক ২২ রান। বাংলাদেশের তখন বোলিংয়ে ভরসা একমাত্র সৌম্য। সৌম্য তার কাজ টি ভালো করলেন। ১ ওভারে ১২ রান দরকার ভারতের, প্রথম পাঁচ বলে ৭ পরান দিলেন,সাথে নিলেন একটি উইকেট। এক বলে ভারতের দরকার ৫ রান,বাংলাদেশের দরকারর ৪ রানের নিচে আটকানো। ক্রিজে দিনেশ কার্তিক, শেষ বলে ছক্কা মেরে ভারতের জয় নিশ্চিত করলেন ভারতীয় উইকেট কিপার। আরও একবার ফাইনালে উঠে স্বপ্ন ভঙ্গ হলো বাংলাদেশের।
এর আগে বাংলাদেশের টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়তে থাকে। শেষ পর্যন্ত সাব্বির ও মাহমুদুল্লাহ্ ব্যাটে ভরে করে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৬৬ রান। অফ ফর্মে থাকা সাব্বির এই ম্যাচে করেন সর্বোচ্চ ৭৭ রান।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ ও এস
Leave a Reply