অনলাইন ডেস্ক:
ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ টিকটক নিয়ে অনেকেই নাখোশ। তবে এই টিকটকের মাধ্যমেই ভিডিও শেয়ার করে নিজের স্বামীকে ফিরে পেলেন ভারতের তামিলনাড়ুর এক নারী। জানা গেছে, গত তিন বছর আগে দাম্পত্য কলহের জেরে ঘর ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন স্বামী। আর ফিরে আসেন নি। অবশেষে টিকটকের মাধ্যমেই তিনি খুঁজে পেয়েছেন তার হারানো স্বামীকে। ভারতের টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক খবরে এ তথ্য জানানো হয়।স্বামী পালান সুরেশকে নানা জায়গায় খুঁজেও ব্যর্থ হন স্ত্রী। একপর্যায়ে তিনি পুলিশের কাছে সুরেশের নামে এফআইআরও করেন। এরপরেও খোঁজ মেলেনি তার। শেষ পর্যন্ত তিন বছর পর তাকে খুঁজে পাওয়া গেল টিকটকে।
চীনা জনপ্রিয় অ্যাপটি ভারতে তুমুল জনপ্রিয়। দেশটির ১২০ মিলিয়ন মানুষ নিয়মিত-অনিয়মিতভাবে টিকটক ব্যবহার করছে। বিভিন্ন গান, বিখ্যাত সিনেমার সংলাপসহ নানা ধরনের মজাদার অডিওর সঙ্গে ঠোঁট মিলিয়ে ভিডিও তৈরি করে আপলোড করা যায় টিকটক অ্যাপে। কিন্তু মজার এ অ্যাপ ঘিরে অভিযোগের শেষ নেই। ভারতে টিকটকের জনপ্রিয়তা প্রচুর। টিকটকের মাধ্যমে সুরেশকে খুঁজে পাওয়ার ঘটনাটি ইতিবাচক হলেও সম্প্রতি টিকটকের নেতিবাচক প্রভাবও দেখা যাচ্ছে। অনেকেই এ ধরনের ভিডিও তৈরিতে আসক্ত হয়ে পড়ছে। সম্প্রতি এক তরুণ টিকটক ভিডিও তৈরির জন্য নদীতে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ হয়েছেন।ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৬ সালে তামিলনাড়ুর কৃষ্ণগিরি অঞ্চলের সুরেশ নামের এক ব্যক্তি পারিবারিক ঝামেলার কারণে স্ত্রী ও দুই সন্তান রেখে উধাও হয়ে যান। স্বামীকে দীর্ঘদিন খুঁজে না পেয়ে স্থানীয় থানায় এফআইআর করেন তাঁর স্ত্রী। কিন্তু গত তিন বছরেও সুরেশের কোনো খোঁজ পায়নি পুলিশ।
সম্প্রতি তাঁদের এক আত্মীয় একটি টিকটক ভিডিওতে সুরেশসদৃশ এক ব্যক্তিকে দেখে তাঁর স্ত্রীকে জানান। পরে টিকটক ভিডিও দেখে স্বামীকে শনাক্ত করেন তিনি। পুরে পুলিশ গিয়ে হসুর নামক এলাকা থেকে সুরেশকে আটক করেছে। পুলিশ জানতে পারে, বাড়ি থেকে পালিয়ে সেখানে মেকানিকের কাজ করত সুরেশ। সেখানে একজনের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে তাঁর। তাঁদের দুজনকে টিকটকের ভিডিওতে দেখা যায়। উল্লেখ্য, এপ্রিল মাসে পর্নোগ্রাফি ছড়ানোর অভিযোগে টিকটক অ্যাপ নিষিদ্ধ করেন আদালত। এই কারণে গুগল ও অ্যাপল তাদের প্লে স্টোর থেকে অ্যাপটি সরিয়ে নেয়।এরপর হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় টিকটকের মালিক প্রতিষ্ঠানটি। এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট বলেন, ২৪ এপ্রিলের মধ্যে টিকটক নিষিদ্ধ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে আদালতকে। এর মধ্যে হাইকোর্ট সিদ্ধান্ত নিতে ব্যর্থ হলে নিষেধাজ্ঞা বাতিল হয়ে যাবে বলে জানান সর্বোচ্চ আদালত।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply