সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের নতুন চল শুরু হয়েছে—টেন ইয়ার চ্যালেঞ্জ। ফেসবুক, টুইটার আর ইনস্টাগ্রামে মানুষ পাশাপাশি রেখে শেয়ার করছে ১০ বছর আগের ও বর্তমানের ছবি। হ্যাশট্যাগে লিখছে #HowHardDidAgingHitYou, #10yearchallenge কিংবা #GlowUp। কোথা থেকে যে এই চ্যালেঞ্জ শুরু হলো, তা বলা মুশকিল। তবে দেশ ও দেশের বাইরে এই চ্যালেঞ্জে মানুষ অংশ নিচ্ছে বিপুল উৎসাহে। তারকারাও কম যাচ্ছেন না। কেউ কেউ তো চ্যালেঞ্জটা আরও চ্যালেঞ্জিং করে তুলছেন ২০–৩০ বছর আগের ছবির সঙ্গে বর্তমানের ছবি দিয়ে।
এই চ্যালেঞ্জের কারণ আসলে কী? খুব সহজ, বছর দশেকে আপনি কতটুকু বদলে গেছেন, সেটাই দেখানো। বদলটা হতে পারে উন্নতির দিকে কিংবা অবনতির। আবার কেউ কেউ তো চিরসবুজের দলে। বছর দশেক আগে যেমন ছিলেন, এখনো একই রকম। হলিউড অভিনেত্রী রিজ উইদারস্পুন ও উপস্থাপক এলেন ডিজেনারেস পড়ছেন এই দলে। দশ বছর ব্যবধানের ছবি দেখে বোঝা দায় যে তাঁদের বয়স বেড়েছে না উল্টো কমেছে! একই অবস্থা দেশের জয়া আহসানের বেলাতেও।
মিম–ট্রলও কম হচ্ছে না। এই যেমন এক শিশুকে কোলে নিয়ে হাসিমুখে দাঁড়িয়ে থাকা প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার ছবি দিয়ে নিচে লেখা হয়েছে ‘২০০৮’। পাশের ছবিতে দেখা যাচ্ছে, প্রিয়াঙ্কা চোপড়া হাসিমুখে দাঁড়িয়ে আছেন নিক জোনাসের সঙ্গে, নিচে লেখা ‘২০১৮’। অনেকে আবার পুরোনো ছবির সঙ্গে বর্তমানের অন্য কোনো ছবি দিয়ে নিজের অবস্থার জানান দিচ্ছেন। কেবল নিজের ছবি নয়, পোষা প্রাণী, গাছের ছবিও আসছে এই চ্যালেঞ্জে।
এ পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে সাড়ে ৫০ লাখ মানুষ এই চ্যালেঞ্জ অংশ নিয়েছেন। প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর গোপন উদ্দেশ্যও থাকতে পারে। সেটা কী? ফোর্বস ম্যাগাজিনে প্রকাশিত এক কলামে বলা হচ্ছে, ফেসবুকই হয়তো এই চ্যালেঞ্জটা শুরু করেছে। মানুষের পুরোনো ও নতুন ছবি তাদের মুখ চেনার প্রযুক্তিতে বড় গিনিপিগ হিসেবে কাজ করতে পারে। দেখা গেল, বছর দশেক পর এ অভিযোগেই জবাবদিহি করতে হচ্ছে মার্ক জাকারবার্গকে! একেবারে আক্ষরিক অর্থে টেন ইয়ার চ্যালেঞ্জ!
সেক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহারে গা ভাসিয়ে দেবার আগে আমাদের একটু সচেতনতার প্রয়োজন। এতে যেন কোনো ক্ষতির সম্মুখীন না হতে হয়।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ মোঃ মোস্তফা কামাল
Leave a Reply