শুনতে অবাক লাগছে,তাই না? হাঁস,মুরগী,কবুতর ও বিভিন্ন পাখি ডিম পারে সেই কথা জানি আমরা। বিজ্ঞানী টমাস আলভা এডিশনের মুরগীর ডিমে তা দেয়ার মজার ঘটনাও আমরা জানি কিন্তু ইন্দোশিয়ার এক আশ্চর্যজনক বালকের সন্ধান পাওয়া গেছে যে কিনা ডিম দেয়।
অবিশ্বাস্য হলেও সত্য এই আশ্চর্য বালক গত দুই বছরে সে গুণে গুণে ডিম দিয়ে টি। কিশোরের এই ঘটনা প্রথমে ডাক্তাররা বিশ্বাস করেন নি। তারা ভেবেছিলেন হয়ত নিছক ই কোন মজা করছেন তারা। চিকিৎসকদের বিশ্বাস করানোর জন্য বালক প্রমাণ হিসেবে তাদের সামনেই দুইটি ডিম পেড়ে দেখিয়েছেন। চিকিৎসকেরা হতবাক হয়ে যান। তারা কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারছিলেন না।
গণমাধ্যমের সূত্র ধরে জানা যায়,আকমলে নামের এই আশ্চর্য বালক ইন্দোনেশিয়ার সাউথ সুলাওয়েসি প্রদেশের কাবুপাতেন গোয়া নামক গ্রামের বাসিন্দা । বিগত দুই বছর ধরে সে মোট ২০ টি ডিম পেরেছে। যখন সে ডিম পারে তাকে বাধ্য হয়ে প্রায় প্রায় ই হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়।
ছেলের ডিম পারার বিষয়ে আকমলের বাবা রুসলি জানান, তার ছেলে আকমল যে সকল ডিম পারছে সে ডিমগুলো ভাঙার পর কিছু ডিমে শুধু কুসুমের মত অংশ বিশেষ, আবার কিছু ডিমে শুধু ই ডিমের সাদা অংশের মত দেখা যায়।
ডিম পারা এই আশ্চর্য বালকের বর্তমানে চিকিৎসা চলছে ” সায়েচ ইউসুফ সুংগুমিনাসা” নামের একটি হাসপাতালে। আকমলের এই ঘটনায় চিকিৎসকেরা রীতিমত অবাক। চিকিৎসকদের সামনে আকমল ডিম পারার পর তারা আকমলের পেটে এক্স-রে করার তার পেটে ডিমের মত আরও দুইটি বস্তু দেখার পর চিকিৎসকেরা তার পায়ু পথে অপারেশন করে সেগুলা বের করা হয়।
আকমল যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন সেখানের মুখপাত্র বলেন, “আমাদের সন্দেহ আকমলের পায়ুপথ দিয়ে এগুলো ইচ্ছাকৃতভাবে প্রবেশ করানো হয়েছে। তবে আমরা এ ধরনের কোনো কিছু পাইনি। বৈজ্ঞানিকভাবে মানুষের দেহের ভেতরে মুরগির ডিম সৃষ্টি হতে পারে না। মানুষের হজম প্রক্রিয়া বিবেচনায় এ অসম্ভব।”
কিন্তু আকমলের বাবা এই অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি সাংবাদিকদের নিকট বলেছেন, তার ছেলের শরীর ডিম ঢোকানো হয় নি। আর কেন তারা এটি করবেন। তবে আকমলের এলাকায় তাকে নিয়ে চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ ও এস
Leave a Reply