কামরান আহমেদ রাজীব কুষ্টিয়া প্রতিনিধিঃকুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর থানার সামনে বৈশাখী মেলার নামে চলছে “চাদের কণা” লটারির জুয়া খেলা। কৃষক-শ্রমিক, মুটে-মুজুরসহ খেটে খাওয়া মানুষ পুরষ্কার পাওয়ার আশায় লটারি কিনে নিঃস্ব হয়ে পড়ছে। মহিলারা ডিম-মুরগী বিক্রি করা ও তাদের জমানো টাকা দিয়ে লটারি কিনে সর্বশান্ত হয়ে পড়ছে। ফলে পারিবারিক কলহ-বিবাদ বেড়েই চলেছে।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কারোরই নেই কোন মাথাব্যাথা। প্রতিদিন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা চলাকালীন সময়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিকটে সকাল থেকে পৌছে যায় চাদের কণা লাকী কুপনের গাড়ী। এতে শিক্ষার্থীরা সুযোগ পেলেই লটারি কেনার প্রতি ঝুঁকে পড়ছে। এতে সমাজের সকল শ্রেণী পেশার মানুষ ধ্বংসের দিকে ধাবিত হচ্ছে । শুধু প্রতিষ্ঠানের সামনেই নয় গাড়িতে মাইক লাগিয়ে শহর থেকে গ্রাম-গঞ্জের ভিতরে যেয়ে লটারি বিক্রি করছে।
প্রতিদিন রাত দশটার পর থেকে শিক্ষার্থীরা লেখাপড়া বাদ দিয়ে সরাসরি মাঠে চলে যায় এবং আবার অনেকেই টিভির সামনে যেয়ে বসে লটারি খেলা দেখে । ২০ টাকায় কারগাড়ি, মোটরসাইকেল, ফ্রিজ, টিভি সহ সর্বমোট বিভিন্ন পুরস্কার জেতার নেশায় মেতে উঠেছে শিশু, নারী ও বৃদ্ধ-বৃদ্ধাসহ সর্বশ্রেণীর সাধারন মানুষ। টিকিট কিনছে দেদারছে যদি লাইগা যায় ২০ টাকায় একটি আকর্ষণীয় পালসার মোটর সাইকেল।
তাদের শ্লোগান ২০টাকায় হবে না বাড়ি, হবে না গাড়ি, যদি লাইগা যায়, একটি পালসার মোটর সাইকেল। এ নেশায় কুষ্টিয়া সহ আশপাশের জেলার মানুষ আজ ধ্বংসের দিকে। চাদের কণা লাকি কুপন লটারি জুয়া খেলা অতি দ্রুত বন্ধের দাবিতে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে সর্বস্তরের সচেতন মহল ও সাধারন জনগণ।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ জয় রহমান
Leave a Reply