চলমান লোকসভা নির্বাচনের মধ্যেই ভারতে আঘাত হানে সুপার সাইক্লোন ফণী। এই ঘূর্ণিঝড় কেটে গেলেও একে ঘিরেই দেশটির প্রধানমন্ত্রী ও তৃণমূল নেত্রী মমতার মধ্যে শুরু হয়েছে বাকযুদ্ধ। মোদী ফণীর ব্যাপারে মমতাকে ফোন করলেও মমতা নাকি তা রিসিভ করেননি, আর এই নিয়েই মূল দ্বন্দ্বের শুরু। প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগে মমতা বলেন, মঞ্চ ভাগ করে নিতে চান না বলেই প্রধানমন্ত্রীর ফোনের জবাব দেইনি।
নির্বাচনি জনসভা থেকে এ কথাই জানিয়েছেন মমতা। বিষ্ণুপুরে দলীয় প্রার্থীর হয়ে প্রচার করতে গিয়ে মুখমন্ত্রী বলেন, একজন প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ ফুরিয়ে গিয়েছে। তার সঙ্গে মঞ্চ ভাগ করব না বলেই আমি ফোন ধরিনি। মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে ঘূর্ণিঝড় ফণী প্রসঙ্গে সোমবার (৬ মে) পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে এসে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি চিন্তায় ছিলাম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দুবার ফোনও করেছিলাম। কিন্তু তিনি ধরেননি। ঘূর্ণিঝড় ফণী নিয়ে রাজ্যের রাজ্যপাল কেশরী নাথ ত্রিপাঠীকে ফোন করা নিয়ে তৈরি হওয়া বিতর্কের মাঝে রাজ্যে এসে এমনই দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
অব্যবহিত পরে পাল্টা তাকে নিশানা করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তিনি বলেন, ঝড়ের কথা শুনে আমি খড়গপুরে চলে গিয়েছিলাম। ওখান থেকে গোটা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছিলাম। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী সে সময় ভোটের প্রচারেই ব্যস্ত ছিলেন।
রাজ্যপালকে প্রধানমন্ত্রীর ফোন করার ঘটনায় যারপরনাই ক্ষুদ্ধ বাংলা শাসক শিবির। তারা মনে করছে, এভাবে দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে শ্রদ্ধা করেন না প্রধানমন্ত্রী। রাজ্যের পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজ নিতে তার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার প্রয়োজন ছিল। তা না করে রাজ্যপালকে কেন ফোন করলেন সে প্রশ্নই তুলেছে তৃণমূল।
এ দিকে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের যে সমস্ত এলাকার ওপর দিয়ে ঘূর্ণিঝড় বয়ে গিয়েছে তার কয়েকটি জায়গায় পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন রাজ্যপাল। তবে, প্রধানমন্ত্রীর আগেই তার দপ্তরের তরফে বলা হয় প্রধানমন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করেছিলেন। মমতার পাশাপাশি উড়িষ্যার মুখ্যমন্ত্রীকেও ফোন করেছিলেন বলে দাবি প্রধানমন্ত্রীর কর্মকর্তাদের।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply