স্কুলটিতে ছাত্রছাত্রী সংখ্যা প্রায় ৩ হাজার। প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল আজ থেকে প্রায় ১২০ বছর পূর্বে। ৬ ফেব্রুয়ারি ১৮৮৯ সালে নেত্রকোনা জেলা শহরের প্রাণ কেন্দ্রে প্রতিষ্ঠিত ঐতিহাসিক দত্ত উচ্চ বিদ্যালয়টি। বর্তমানে স্কুলে ছাত্রছাত্রী সংখ্যা প্রায় ৩ হাজার।
স্বনামধন্য এই প্রতিষ্ঠানটিতে বর্তমান সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার জন্য এক প্রকার তলানিতে চলে যাচ্ছে স্কুলের সুনাম। তেমনি ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকবৃন্দ রয়েছে জিম্মি অবস্থায়। এমনই অভিযোগ অত্র প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকদের।
গত ৭ই মার্চ শিক্ষা সচিব বরাবর ১১টি অভিযোগ উল্লেখ করে একটি অভিযোগ পত্র প্রদান করা হয়। অভিযোগে বলা হয়েছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিষেধ থাকা সত্ত্বেও বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরকে বাধ্যতামূলক কোচিং ব্যবস্থা করা হয়েছে। ছাত্রছাত্রীরা এ ব্যাপারে আপত্তি করায় তাদেরকে নিয়মিত ক্লাস বন্ধ করে দেয়াসহ বহিষ্কারের হুমকি প্রদান করে প্রাধন শিক্ষক। এ অবস্থায় ছাত্রছাত্রীদের বাধ্য হয়ে বিদ্যালয়ের কোচিং এ ভর্তি হতে হয়।
অভিযোগ পত্রে বলা হয়েছে, সভাপতির ক্ষমতাবলে পারিবারিক সদস্যদের অত্রস্কুলে নিয়োগ দান করা হয়েছে। অভিযোগে আরও দাবি করা হয়, অতিরিক্ত ক্লাসের জন্য ১৫০/-(একশত পঞ্চাশ টাকা মাত্র) সরকার কর্তৃক নির্ধারিত থাকলেও প্রধান শিক্ষক কোচিং ক্লাস এর জন্য ৩০০/-(তিনশত টাকা) ভর্তি ফি এবং মাসিক ১০০০/-(এক হাজার টাকা) আদায় করছে।
অভিযোগের বিষয় স্কুলের এক শিক্ষকের সাথে কথা বলতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি জানান, প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির অনৈতিক কর্মকান্ডে সহযোগিতা না করায় বিদ্যালয়ের স্বনামধন্য ও যোগ্য খন্ডকালীন শিক্ষকগণকে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে অবৈধভাবে স্কুল থেকে বের করে দেন এবং তাদেরকে এখন পর্যন্ত কোন ধরণের লিখিত নোটিশ দেয়নি। এমনকি এই কাজের জন্য উক্ত শিক্ষকগণকে কোন কারণ জানানো হয়নি। এ মধ্যে রয়েছে গোকুল চন্দ্র সাহা, বিশ্বজিৎ রায়, কাকলী রায়সহ আরও অনেকে।
এসব বিষয় কথা বলতে যোগাযোগ করা হয় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সাথে। তিনি এসব অভিযোগের বিষয়ে বলেন, ‘এমন অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমাদের বিদ্যালয়ে কোন ধরণের অতিরিক্ত ফি আদায় করা হয় না। আমি এই প্রতিষ্ঠানের জন্য অনেক কিছু করেছি। আপনারা (সাংবাদিকরা) খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন। আমি এই প্রতিষ্ঠানে আসার পর শিক্ষার মান বৃদ্ধি পেয়েছে। আমি প্রতিটি ক্লাসে মাল্টিমিডিয়া ক্লাস চালু করেছি। প্রতিটি ক্লাসে সিসি ক্যামেরা লাগানোর ব্যবস্থা করেছি। আমি জানি না কেন এই ধরণের অভিযোগ করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের স্কুলে শুধু মাত্র জেএসসি এবং এসএসসি শিক্ষার্থীদের জন্য একটি অতিরিক্ত ক্লাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যেটা স্কুলের শিক্ষার্থীদের অনুরোধে। এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার অবগত রয়েছেন।’
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের সভাপতির সাথে যোগাযোগ করলে তিনি রং নম্বার বলে ফোনটি কেটে দেন।
এ বিষয়ে নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক মঈনউল ইসলাম জানান, ‘আমাদের কাছে এমন একটি অভিযোগ এসেছে। আমরা কিছু দিনের মধ্যেই তদন্ত করব। তদন্তের পর বিস্তারিত বলতে পারব।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ জয় রহমান
Leave a Reply