বাংলাদেশের ফুটবল নিয়ে সাধারণ মানুষের জানার আগ্রহ বলতে গেলে তেমন নাই। সংবাদ মাধ্যম কে পেশাদারিত্ব থেকে ফুটবলের খোঁজ-খবর গুলো সংগ্রহ করতে হয়। জাতীয় দলের ফুটবলে দিন দিন চরম অবনতি ঘটলেও দেশের পেশাদার লিগে পেশাদারিত্বের ছোঁয়া লাগছে দিন দিন।
বাংলাদেশে কোন ফুটবল দলের কোচিং করানো কয়েক বছর পূর্বেই ছিল আর্থিক ভাবে অনিরাপদ একটি চাকরি এবং যখন তখন চাকরি হারানোর বিষয় তো ছিল ই। ১০ বছর পূর্বেও ক্লাব ফুটবলে কোচিং করিয়ে কোচেরা খেলোয়ারদের চেয়ে অনেক কম, কখনো অর্ধেক টাকাও পারিশ্রমিক পেতেন কিন্তু এখন দিন বদলেছে।
পেশাদার লিগে এখন টাকার ছড়াছড়ি। এখন কোন কোন ক্লাবে কোচিং করিয়ে এক মৌসুমে কোচেরা পাচ্ছেন ৩০-৪০ লাখ টাকা। টাকার সেই অঙ্ক এবার অর্ধ কোটিতে চলে যাচ্ছে। দেশের ফুটবল পাড়ায় বেশ কিছু দিন ধরেই গুঞ্জন চলছিল এবার ৫০ লাখ টাকায় শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্রের সাথে চুক্তিবদ্ধ হচ্ছে দেশের প্রথম সারির কোচ সাইফুল বারী টিটু।
বেশ কয়েক বছর ধরে ভালো মানের দল গড়েও আশানুরূপ সাফল্য পাচ্ছে না শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্র। তাই তারা আগামী মৌসুমে কোচ শফিকুল ইসলাম মানিকের জায়গায় নিচ্ছেন সাইফুল বারী টিটু। শেখ রাসেলের কোচ বিষয়ের সাইফুল বারী টিটু সংবাদ মাধ্যম কে বলেন, ‘মৌখিক ভাবে কথাবার্তা চূড়ান্ত। শেখ রাসেলের হয়ে আগামী মৌসুমে ডাগ আউটে থাকব—এটা নিশ্চিত।’ টাকার অঙ্ক টা তিনি সরাসরি না বললেও আগের মৌসুমের থেকে বেশী পাচ্ছেন সেটা নিশ্চিত করেছেন। শেষ মৌসুমে তিনি চট্টগ্রাম আবাহনীর কোচিং করিয়ে পেয়েছেন ৪০ লাখ টাকা,তাই এবার তার পারিশ্রমিক টা অর্ধ কোটিতে যাবে বলে মনে করছেন অনেকেই।
বর্তমানে সাইফুল বারী টিটু ঐতিহ্যবাহী আবাহনী লিমিটেডের অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এএফসি কাপ উপলক্ষে ফেব্রুয়ারি তে যোগ দিয়েছেন আবাহনীতে। আগামী মে মাসে তার চুক্তি শেষ হলে শেখ রাসেলের ম্যানেজার হিসেবে নতুন মৌসুমের জন্য মাঠে নামবেন। এর পূর্বে মোহামেডান, শেখ জামাল ও আরামবাগের দায়িত্ব পালন করেছিলেন দেশের অন্যতম সেরা এই কোচ। জাতীয় দলের কোচের দায়িত্বেও ছিলেন বিভিন্ন সময়।
আশির দশকে ধানমন্ডি ক্লাব (বর্তমানের শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব) দিয়ে ঢাকার ফুটবলে জায়গা শক্ত করে নিয়েছিলেন টিটু। পরে ১৯৮৯-৯০ মৌসুমে যোগ দেন মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবে। মোহামেডানে খেলেছেন একটানা ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত। জাতীয় দলেও এ সময়ের মধ্যেই জায়গা করে নেন। দেশের জার্সি গায়ে খেলেছেন ১৯৮৯ থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত। ১৯৯৪ সালে যোগ দেন ‘বিদ্রোহী’ মুক্তিযোদ্ধায়। সেখানে খেলেন বেশ কয়েক বছর। ক্যারিয়ারের শেষ দিকে মোহামেডানে ফিরেছিলেন। ২০০১ সালে খেলোয়াড়ি জীবনকে বিদায় বলেন তিনি।
২০০৫ সালে কোচিং ক্যারিয়ার শুরু করেন মোহামেডানের সহকারী কোচ হিসেবে। ২০০৭ সালে প্রথম জাতীয় দলের সহকারী কোচ হিসেবে কাজ করেন। এএফসি ‘এ’ লাইসেন্সধারী কোচ টিটু সাবেক ফুটবলারদের কোচিং পেশায় আসার দারুণ এক উদাহরণই।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এস এস
Leave a Reply