কামরান আহমেদ রাজীব, কুষ্টিয়া প্রতিনিধিঃ কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ১৭৪ নং লক্ষিকোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ রহিতুল ইসলামের বিরুদ্ধে ২ লাখ টাকার ০২টি শিশু গাছ ২৬,৯১১ টাকায় গোপনে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে। এতে বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও সদস্যসহ শিক্ষার্থী, অভিভাবকেরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। এলাকার অভিভাবক বৃন্দ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ১৯৯১ সালে এই বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করার সময় পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে এলাকার মানুষ এই বিদ্যালয়ের আঙিনায় বিভিন্ন স্থানে গাছ রোপণ করেন, গাছ খেকো হেড মাষ্টার নানা অছিলায় গাছ গুলি কেটে নিয়েছে। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে স্কুল ফাঁকী, শিক্ষার্থীদের দিয়ে ব্যাক্তিগত কাজ করিয়ে নেওয়ার অভিযোগ আছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, দূর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষক বিভিন্ন মহলকে হাত করে, গত ১৫/০৫/২০১৯ইং তারিখে উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তার নিকট বিদ্যালয়ের পার্শে অবস্থিত দু’টি মরা শিশু গাছ নিলামে বিক্রয় করার জন্য আবেদন করেন, যা বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের অনুমতিক্রমে মিটিং ডেকে রেজুলেশন করে অত্র বিদ্যালয়ের সুচতুর প্রধান শিক্ষক । গত ২৬/৫/২০১৯ তাং বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কর্তৃক নির্ধারিত ২৩,৫০৬/= (তেইশ হাজার পাঁচ শত ছয় টাকা) মূল্যে ও তার সাথে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে আয়কর সহ বিক্রয় করা হবে মর্মে নোটিশ প্রদান করলে নিজেদের মন গড়া সাজানো আগ্রহী ব্যাক্তিগণের মধ্যে সর্বোচ্চ দর পত্র দাতা মোঃ শাহাজুল ইসলাম পিতা মৃত. আকবর মোল্লা,সাং শীতলাইপাড়া,উপজেলা দৌলতপুর,জেলা কুষ্টিয়া আয়কর ভ্যাট সহ ২৬,৯১১/=( ছাব্বিশ হাজার নয় শত এগার টাকা) দরপ্রদান করায় তাকে দ’ুটি শিশু গাছ কর্তন করে আহরন প্রদানের জন্য শুপারিশ করা হয়। যা অত্র বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ,সদস্যগণ কিছুই জানেনা।
গত ১৪ জুন সকাল সাড়ে ৭ টার সময় সর্বোচ্চ দর দাতা ক্রেতা সাহাজুল ইসলাম তার ক্রয়কৃত গাছ কর্তন করতে গেলে এলাকাবাসী ও বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও সদস্যগণ মিলে গাছ কর্তনে বাঁধা প্রদান করেন। তারা স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন প্রধান শিক্ষক তার স্বার্থ হাসিলের জন্য প্রকাশ্যে দরপত্র আহব্বান না করে গোপনে উর্ধতন কতৃপক্ষের সাথে যোগসাজোসে গোপনে মোটা অংকের লেনদেন করে, দু’লক্ষ টাকার শিশুগাছ নাম ম্ত্র মূল্যে মাত্র ২৬,৯১১/=( ছাব্বিশ হাজার নয় শত এগার) টাকায় বিক্রিতে স্বাক্ষর করেন ।
এ বিষয়ে অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ রহিতুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন গাছ বিক্রয়ের বিষয়ে তার কোন কিছু জানা নাই, এ বিষয়টা সম্পুর্ন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আর বন বিভাগের কর্মকর্তারা জানেন। তিনি আরো বলেন গাছ বিক্রয়ের সময় আমাকে জানানো হয় নাই। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট এলাকাবাসী ও বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও সদস্যগণের দাবী ১৭৪ নং লক্ষিকোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু গাছ দু’টির দরপত্র বাতিল করে পুনরায় দরপত্র আহবান করে ন্যায্য মূল্যে বিক্রি করার জোর দাবী জানান। এ ছাড়া দূর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষকের শাস্তি দাবী করেন। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, সরকারী বিধিসম্মত ভাবে দর পত্র আহবান করে গাছ দু’টি বিক্রয় করা হয়েছে।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
খবরটি যদি গুরুত্বপুর্ন মনে হয় তাহলে লাইক, কমেন্টস, শেয়ার করুন
Leave a Reply