কামরান আহমেদ রাজীব, কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধিঃ কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে প্রাথামিক শিক্ষা কর্মকর্তার রোষানলে পড়ে প্রতি বছর যাতয়াত সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে প্রাথামিক সমাপনী পরীক্ষার্থীরা। রোল মডেল হিসেবে দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে, বাংলার মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের জন্য মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যখন রাত দিন নিরলস শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন এবং বাংলাদেশকে দূর্ণীতি মুক্ত করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন ঠিক সে মুহুর্তেই তামাশা এবং কারো তোয়াক্কা না করে চাটুকারি কিছু শিক্ষক দ্বারা প্রভাবিত হয়ে নিজের ইচ্ছে স্বাধীনে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন দৌলতপুর উপজেলার শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ মোনতাকিমুর রহমান। খোঁজ নিয়ে জানাযায় দৌলতপুর উপজেলার মোট ১৪ টি ইউনিয়নে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার মুল ও সাব সেন্টার মিলে মোট ২৪ টি কেন্দ্রের মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। বৃহৎ একটি ইউনিয়ন পিয়ারপুর যেখানে কোন সাব
সেন্টারবাদে কোমলমতী শিক্ষার্থীদের কে প্রায় ৮ / ৯ কিঃমিঃ পথ পাড়ি দিয়ে ইউনিয়নের পূর্ব দিকের শেষ প্রান্তে অবস্থিত কামালপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় সেন্টারে পরীক্ষা দিতে যেতে হয়। কোমলমতী শিক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখে এলাকাবাসীর দাবীর প্রেক্ষিতে ( আল¬ারদর্গা, আমদহ, পুরাতন আমদহ, মিরপুর, জয়ভোগা ) সর্ব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও খন্দকার এম.একাডেমী, অক্সফোর্ড মডেল স্কুল, নতুন কুঁড়ি শিশু একাডেমী, কলরব স্কুল নিয়ে আল¬ারদর্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সাব সেন্টার নেয়ার জন্য প্রতিষ্ঠান প্রধানগণের স্বাক্ষরে স্থানীয় মাননীয় সংসদ সদস্য মহোদয়ের মৌখিক সম্মতিতে গত ১/৪/২০১৯ তারিখে ইউ এন ও মহোদয় বরাবর আবেদন দাখিল করা হয়। ইউ এন ও মহোদয় তাৎক্ষনিক উপজেলা শিক্ষা কর্মকতাকে লিখিত ভাবে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেন। পরবর্তীতে উপ-পরিচালক মহোদয়, প্রাথমিক শিক্ষা, খুলনা বিভাগ খুলনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, কুষ্টিয়াকে এ বিষয়ে
ব্যবস্থা নিতে টেলিফোনিক নির্দেশনা প্রদান করেন। গত ১৮/০৬/২০১৯ তারিখে জেলা প্রশাসক,কুষ্টিয়া মহোদয় এ বিষয়ে লিখিত ভাবে ব্যবস্থা নিতে উপজেলা প্রশাসনকে নির্দেশনা প্রদান করেন। স্থানীয় মাননীয় সংসদ সদস্য মহোদয় কয়েক বার ইউ এন ও মহোদয়কে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা প্রদান করেন। কিন্তু উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ঐ একই চাটুকারি শিক্ষকের কথায় ইউ এন ও মহোদয়ের সদিচ্ছাকে বিভিন্ন অজুহাতে ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করছেন। প্রস্তাবিত এ সাব সেন্টার রোষানলের কারণে কোমলমতী শিক্ষার্থীরা প্রাপ্য যাতয়াত সুযোগ থেকে প্রতি বছর বঞ্চিত হচ্ছে। উলে¬খ্য যে, প্রস্তাবিত সাব-সেন্টার আল¬ারদর্গা সরঃপ্রাথঃ বিদ্যালয়ে কর্মরত প্রধান শিক্ষক মোঃ আশরাফুল ইসলাম সারা দেশের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক-২০১৮, হিসেবে মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর নিকট থেকে পদক গ্রহন করেন এবং প্রাথমিক শিক্ষা ক্ষেত্রে সারা দেশের সেরা উদ্ভাবক-২০১৯‘ নির্বাচিত হয়ে প্রাথঃ ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাননীয় সচিব মহোদয়ের নিকট থেকে ক্রেস্ট ও সনদ গ্রহনকরেন। প্রস্তাবিত সাব-সেন্টার আল¬ারদর্গা সরঃপ্রাথঃ বিদ্যালয়টি গত
৭/৮/২০১৮ তারিখ জেলা প্রশাসক জহিররায়হান ১৪/০১/২০১৯ তারিখ অতিঃ জেলা প্রশাসক তরফদার সোহেল রহমান এবং ৮/৪/২০১৯ তারিখ জেলা প্রশাসক আসলাম হোহেন আকস্মিক পরিদর্শন করেন সকল কার্যক্রম দেখে অত্যন্ত সন্তোষ প্রকাশ করেন, বিদ্যালয়টি দেশ সেরা বিদ্যালয়ের রুপান্তরিত হবে মর্মে ভিজিট নোট প্রদান করেন। এত সফল তার পরও সাব-সেন্টারের জন্য কেন এমন তামাশা ? উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রস্তাবিত বিদ্যালয়ে সাব-সেন্টার দেয়ার কোনো সুযোগ নেই বলে জানান। এ ব্যাপারে দৌলতপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ মোনতাকিমুর রহমান আরো বলেন সাব-সেন্টারের জন্য ৩ টি আবেদন পেয়েছি, তবে বিভিন্ন কেন্দ্রের তথ্য বহুল ডি.আর. ফাইল এ বছরের মত গত ২৯ মে পাঠানো হয়ে গিয়েছে, এ
বছর সাব-সেন্টারের আর কোন সুযোগ নাই, সামনে বছর চেষ্টা করতে হবে। ভুক্ত ভোগীরা আবেদন করেছেন গত ১ এপ্রিল, ফাইল পাঠানো হয়েছে ২৯ মে প্রায় ২ মাস পর, এর মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলনা কেন ? এ প্রশ্নের জবাবে জানান ইউ.এন.ও সাহেবের সাথে আলাপ করেছি, কর্মকর্তা,পুলিশ ও সাব-সেন্টারের শর্ত অনুযায়ী এ বছর করা সম্ভব হয়নি। ভুক্ত ভোগী ১১ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও অভিভাবকরা জানান, পিয়ারপুর ইউনিয়নের আল্লারদর্গা এলাকায় ১১টি সরকারী-বে-সরকারী প্রট্রেকটিভ প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ২টি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে, এর চেয়ে সাব-সেন্টারের জন্য ভাল পরিবেশের স্কুল দৌলতপুর এলাকায় নাই, শুধু ১ জন ট্যাগ
অফিসার ও ২ জন পুলিশ সদস্য প্রয়োজন। প্রায় ৪০০ কোমল মতি শিক্ষার্থীর কষ্টের দিকে না তাকিয়ে, এ টুকু ম্যানেজ করার যার সাধ্য নাই, সে শিক্ষা অফিসারের দৌলতপুর থাকা উচিৎ নয় বলে জানান। প্রস্তাবিত বিদ্যালয়কে সাব-সেন্টার দিতে কোনো শর্তের ঘাটতি থাকলে তা পরিবর্তন করে আল¬ারদর্গা নাসির উদ্দিন বিশ্বাস মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়কে প্রস্তাব রাখা হলে তাও তিনি কোনো তোয়াক্কা না করে সাব-সেন্টার না দেয়ার পক্ষে শক্ত অবস্থানে রয়েছেন। কয়েক জন শিক্ষক দ্বারা প্রভাবিত হয়ে ও এত গুলো কর্মকর্তা মহোদয়গণের নির্দেশনা অমাণ্য করে কেন কোমলমতী শিক্ষার্থীদের কে নিকটবর্তী কেন্দ্রে সাব-সেন্টার করে পরীক্ষা দিতে দেয়া হবেনা এবং পর পর ২ টি বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষায় দেশ সেরা শিক্ষকের কর্মস্থল আল্লারদর্গা সরঃপ্রাথঃ বিদ্যালয়কে সাব সেন্টার করার বিষয়ে আইনী কোনো ঘাটতি আছে কিনা তা খতিয়ে দেখার জন্য এবং এ বিষয়ে সুব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এলাকাবাসী উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply