রাঙ্গামাটিতে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে এক শিশুকে হত্যা করেছে প্রাইভেট শিক্ষক। পরে ওই শিক্ষককে আটক করে পুলিশ।
শনিবার ভোরে রাঙ্গামাটির কাপ্তাইয়ের রাইখালী ইউনিয়নের পূর্বকোদালায় শিক্ষক উমবাচিং মং মারমার বাসায় প্রাইভেট পড়তে যায় চার শিশু। পড়া শেষে তিন শিশুকে ছুটি দিলেও তৃতীয় শ্রেণীর এক শিশুকে থাকতে বলে উমবাচিং। পরে শিশুটিকে ধর্ষণের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়ে তার গলার পাটের রশি ও গামছা পেঁচিয়ে হত্যা করে উমবাচিং। বিকালে প্রাইভেট শিক্ষকের বাসায় গিয়ে শিশুটির খোঁজ নেন পরিবারের সদস্যরা। এ সময় তার অসংলগ্ন কথায় তাদের সন্দেহ হয়। রাতে বিষয়টি পুলিশকে জানান তারা।
চন্দ্রঘোনা থানার ওসি মো. আশরাফ উদ্দিন বলেন, রোববার ভোরে শিশুটির মৃতদেহ বস্তায় ভরে পানিতে ফেলে দেয়ার চেষ্টা করছিল উমবাচিং। স্থানীয়দের সহায়তায় পুলিশ তাকে আটক করেছে।
সাতক্ষীরায়ও এক ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। সদর উপজেলার বাঁশদহা ইউনিয়নের হাওয়ালখালি গ্রামে এক প্রতিবন্ধী মেয়েকে টানা ৬ মাস ধর্ষণ করে প্রতিবেশী চাচা আকরাম আলি। এতে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। অবস্থা বেগতিক দেখে ধর্ষক আকরাম আলি কৌশলে তার গর্ভপাতও ঘটায়। এরপর মেয়েটি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে এক সপ্তাহ আগে তাকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনা জানাজানি হওয়ায় ধর্ষক আকরাম আলি, তার স্ত্রী মাসকুরা খাতুন এবং মেয়ে ফেরদৌসি ও তার স্বামী রেজাউল ইসলাম বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে। সদর থানার এসআই মঞ্জুরুল ইসলাম জানান, এ ব্যাপারে মামলা হয়েছে। প্রধান আসামি আকরাম আলিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
দড়িমকুন্দ গ্রামে তিন সন্তানের মা ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। শুক্রবার রাত দেড়টার দিকে প্রকৃতির ডাকে বাড়ির পাশের টয়লেটে যান ওই নারী। এ সময় ওতপেতে থাকা একই গ্রামের লম্পট ফটিক মিয়া তাকে ধর্ষণ করে। ধস্তাধস্তির শব্দ শুনে ওই নারীর প্রতিবেশী আত্মীয় এগিয়ে এলে লম্পট ফটিক দৌড়ে পালিয়ে যায়।
এ সময় তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন সেট ঘটনাস্থলে পড়ে যায়। পরদিন স্থানীয় ইউপি সদস্য ইয়াকুব আলীসহ অন্য মাতব্বররা গ্রাম্য সালিশি বৈঠকে লম্পট ফটিককে হাজির করে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য করে। কিন্তু ওই সময় ধর্ষক ফটিকের দুই ছেলেসহ সন্ত্রাসীরা জরিমানার টাকা দিতে অস্বীকার করে জোরপূর্বক বৈঠক থেকে ফটিককে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে শনিবার রাতে ওই নারী বাদী হয়ে ফটিকের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা করেন।
শুক্রবার বিকালে সদর উপজেলার খানগঞ্জ ইউনিয়নের চরশিবরামপুর গ্রামের ৫ম শ্রেণীর এক ছাত্রী বাড়ির পাশের মাঠে ঘাস কাটতে যায়। এ সময় একই এলাকার রেজাউল ও মিলন মোল্লা তাকে ভুট্টা ক্ষেতে নিয়ে ধর্ষণ করে। এরপর সে বাড়িতে ফিরে মায়ের কাছে বিষয়টি জানায়। পরে সে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় শনিবার রাতে শিশুটির বাবা থানায় মামলা করলে পুলিশ মিলন মোল্লাকে গ্রেফতার করে। সে চরশিবরামপুর গ্রামের আবজাল মোল্লার ছেলে।
প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে নারী নির্যাতনের খবর পাওয়া যাচ্ছে। পুলিশ হয়তো গ্রেফতারও করছে। তবে অবস্থার উন্নতি হচ্ছে কোথায়?
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ মোঃ মোস্তফা কামাল
Leave a Reply