জামালপুরে বাড়ির গৃহকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগে প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মাজেদুল ইসলামের বিরুদ্ধে জামালপুর সদর থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। শনিবার দুপুরে মেয়েটি বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করে।
অভিযোগ উঠেছে, ওই কর্মকর্তা বার বার ধর্ষণের পর মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ায় নিজেকে রক্ষার জন্য কৌশলে তাকে আরেক যুবকের সঙ্গে বিয়ে দেন। তবে বিয়ের দুই মাসের মাথায় মেয়েটি তার শ্বশুরবাড়িতে সাত মাসের সন্তান প্রসব করায় ওই কর্মকর্তার অপকর্ম ফাঁস হয়ে যায়। ঘটনা জানাজানি হওয়ায় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী অভিযুক্তের বাড়ি ঘেরাও করে ঘটনার বিচার দাবি করে।
ধর্ষণের শিকার কিশোরী জানায়, বছরখানেক আগে সদর উপজেলার শরিফপুর ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের মাজেদুল ইসলামের বাসায় গৃহকর্মীর কাজ নেয়। মাজেদুল তার স্ত্রীর অনুপস্থিতিতে গৃহকর্মীকে ধর্ষণ করত। একপর্যায়ে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ার বিষয়টি বুঝতে পেরে দুই মাস আগে তাকে পার্শ্ববর্তী পিঙ্গলহাটি গ্রামের রোকন নামে এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে দেন তিনি। দুই মাসের মধ্যেই মেয়েটি ৭ মাসের মৃত সন্তান প্রসব করলে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়। লোকলজ্জায় তার স্বামী ওই মৃত সন্তানসহ মেয়েটিকে তার বাবার বাড়িতে রেখে যায়। ঘটনা জানাজানির পর ওই গৃহকর্মী প্রতিবেশীদের কাছে তার সাবেক গৃহকর্তার যৌন নির্যাতনের কাহিনী খুলে বললে বিক্ষোভ শুরু হয়। মামলা হবার পর থেকে মাজেদুল পলাতক।
এ ব্যাপারে জামালপুর জেলা শিক্ষা অফিসার শহিদুল ইসলাম বলেন, এই ন্যক্কারজনক ঘটনার জন্য ওই অফিসারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অন্যদিকে, জামালপুর সদর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালেমুজ্জামান জানিয়েছেন, এই ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা নেওয়া হয়েছে। গর্ভের মৃত সন্তানের ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ পরীক্ষার জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ জয় রহমান
Leave a Reply