মাহফুজুর রহমান,দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ দিনাজপুরের নবাবগঞ্জের উৎপাদিত আম এখন দেশের বিভিন্ন জেলায় বাজারজাতকরণ হচ্ছে । চলতি মৌসুমে ঢাকাসহ বাংলাদেশর সর্বত্রই চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে নবাবগঞ্জের আম। আর পর্যাপ্ত পরিমাণ আমের দাম থাকায় অত্যন্ত ব্যস্ত সময় পার করছেন অত্র এলাকার আম চাষী এবং আম ব্যবসায়ীরা। টানা কয়েক বছরের লোকসানের পর এবার অন্তত ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যাশা চাষি ও বাগান মালিকদের। আমচাষি ও বাগান মালিকরা বলছেন, গত কয়েক বছর ধরেই আমের দাম না পাওয়ায় লোকসানের মুখ দেখতে হয়েছিল। অনেক বাগান মালিক আম গাছ কেটে ফসল আবাদ করছে।
এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এই অঞ্চলের আমের বাজার। তবে এবার সেই আশঙ্কা নেই। এবার আমের দামও বেশ ভালো। আমের বাণিজ্যও হচ্ছে জমজমাট। জানা যায়, দিনাজপুরের বিরামপুর, আফতাবগঞ্জ, ঘোড়াঘাট ও পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন এলাকা থেকে মাহমুদপুর ইউনিয়নের টুপিরহাট বাজার আমের আড়তে এ জমা করেন। এ বাজারে প্রতিদিন ওইসব উপজেলা থেকে আসছে , হিমসাগর, ল্যাংড়া, আম্রপালি, ফজলি, গোপালভোগসহ নানা প্রজাতির আম। এখান থেকে প্রতিদিনি প্রায় ১০০ মেট্রিক টন আম যাচ্ছে রাজধানী, রংপুর, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী ও বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন জেলা শহরে। কয়েক বছর ধরে জেলার অন্যতম বৃহৎ আমের আড়ৎ এ পরিণত হয়েছে বাজারটি। চাষিরা বেশি লাভের আশায় আগাম আম এনে বাজারে বিক্রি করছেন।
ঢাকা, রাজশাহীসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আসছেন আম ব্যবসায়ীরা। মাহমুদপুরের দহপাড়া গ্রামের আমব্যবসায়ী মোঃ মুশফিকুর রহমান বলেন, গেল মাসে শিলা বৃষ্টিসহ বড় ধরনের ঝড়ঝাপটায় বিশাল আকারে ক্ষয়ক্ষতির সম্মুক্ষীণ হয়। তবে আমের দাম পর্যাপ্ত পরিমাণ থাকায় লোকসান গুনতে হবে না। তেলিপাড়া গ্রামের আম চাষী মোঃ আজাদ মিয়া বলেন, এই মৌসুমে হিমসাগর আম ২০০০-২২০০ টাকা মন বিক্রি হচ্ছে যা গত বারের চেয়ে অনেকটা বেশি। মাহমুদপুর ফলচাষী সমবায় সমিতি লিমিটেড এর সাধারন সম্পাদক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, নবাবগঞ্জ ও তার আশপাশ এলাকা থেকে প্রতিদিন প্রায় ১০০ টন আম দেশের বিভিন্ন জেলায় বাজারজাতকরণ হচ্ছে।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
খবরটি যদি গুরুত্বপুর্ন মনে হয় তাহলে লাইক, কমেন্টস, শেয়ার করুন
Leave a Reply