জাহিদুল ইসলাম মেরাজ, বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) সংবদাদাতাঃ বাংলাদেশের ক্রিকেট অনেক সম্ভাবনাময় ক্রিকেটারের আগমন দেখেছে, তাদের মধ্যে একজন নাহিম হাসান ।নিজের ক্রিকেটীয় প্রতিভার পরিপূর্ণ বিকাশ ঘটিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের অংশ হয়ে থাকতে চান বহু বছর। হতে চান বাংলাদেশের স্বপ্ন সারথি। নিজের স্বপ্নটাও তাঁর আকাশ ছোঁয়াই। নাহিম হাসান সীতাকুণ্ড, চট্টগ্রামের বারবকুন্ড একজন প্রতিভাবান ক্রিকেটার। সম্ভাবনাময় একজন অলরাউন্ডার হিসেবে নাহিম হাসান প্রথমে গুলশান্থ শুলশান ইয়থ ক্রিকেট একাডেমীর মাধ্যমে সবার নজরে আসে। গুলশান ইয়থ ক্রিকেট একাডেমি থেকে নাহিমের খেলার যাত্রা শুরু হয়। তখন সে বিভাগীয় বয়সভিত্তিক দলের হয়ে
খেলার সুযোগ পেয়েছিল। পরবর্তীতে সে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বি.পি.এল) এর দল চট্টগ্রাম ভাইকিংসের দলের একজন গর্বিত খেলোয়াড়। বর্তমানে নাহিম হাসান ঢাকা ডিভিশন অনুর্দ্ধ-১৮ দলের হয়ে খেলছেন। নাহিম হাসান সীতাকুণ্ড, চট্টগ্রামের বারবকুন্ড গ্রামের একজন গর্বিত সন্তান । চট্টগ্রামে তার জন্য হলেও বেড়ে ওঠা রাজধানীর ঢাকা শহরে।ছোটবেলা থেকেই লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলায় ছিল তার অনেক আগ্রহ। আর সে আগ্রহ থেকেই ক্রিকেটের প্রতি তার ভালোবাসা সৃষ্টি হয়। ছেলের ইচ্ছা পূরণ করতে মা-বাবা সবসময় ছিলেন তার পাশে, সাধ্য অনুসারে যোগান দিয়ে গেছেন তার চাহিদার। যখন নাহিম হাসান চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার গিয়ে
ক্রিকেট একাডেমিতে কোচিং করছে তার স্বপ্ন পূরণের জন্য, এখন নাহিমের বুকভরা স্বপ্ন হয়তো কোন একদিন জাতীয় দলে ডাক দিবে। তার চোখের কোনে ভাসছে এখন ক্রিকেট মহারতিদের মত একজন ক্রিকেটার হয়ে দেশের জন্য লড়াই করবে। নাহিমের সেই স্বপ্ন কি ঝরে পড়ে যাবে? না নাহিম হার মানতে নারাজ খেলে যাবেন সব সময়। হয়তো ভাগ্য আর বিধাতার চাওয়ায় একদিন জাতীয় দলে খেলবে তার স্বপ্ন।নাহিম স্বপ্ন দেখে একদিন সে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলে চট্টগ্রামের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করবে। ১৮ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার লাল -সবুজ জার্সিতে নিজেকে প্রতিনিধিত্ব করার স্বপ্ন দেখেন। ‘মাঠের খেলা’ কে দেয়া এক সাক্ষাতকারে এই সম্ভাবনাময় ক্রিকেটার নিজের স্বপ্ন ও তা পূরণে করণীয় সম্পর্কে জানান। মাঠের খেলা নিয়ে নাহিমের সাথে এক সাক্ষাতকারে তার
স্বপ্নের কথাই বলেঃ ছোটবেলা থেকেই জাতীয় দলে খেলার স্বপ্ন দেখি। আর আমার বয়স তো সবে মাত্র ১৮ আর তাই জাতীয় দলের জার্সিতে নিজেকে দেখতে চাই। যারা বর্তমানে জাতীয় দলের হয়ে খেলছে তারা সবাই নিজের যোগ্যতার বলেই খেলছে। তারা সবাই নিজেদের ঘরোয়া লিগে প্রমাণ করেই আজকে এই অবস্থানে। আমি নিয়মিত লিগে ভালো খেলে যাওয়ার চেষ্টায় থাকি, সেখানে থেকে হয়তো অনেক সুযোগই পেয়ে যাব। সুযোগ আসলে মিরাজ, মোস্তাফিজের মত একদিন ওই অবস্থানে যাব। ক্রিকেটারদের জীবন
এইরকমই একবছর ভালো গেলে আরেকবছর খারাপ যাবে। এই বছর আমি আমার পারফরমেন্স বিশ্লেষণ করে ভুলগুলো খুঁজে বের করে তা সংশোধনের চেষ্টা করি। আশাকরি আগামী বছর আমি আমার এই বছরের ভুলগুলো সংশোধন করে ভালো ক্রিকেট খেলবো । আসলে ভালো অবস্থানে যাইতে হলে মানসিকভাবে খুবই শক্তিশালী হতে হবে, সহজে হার মানা যাবে না। আমি আমার সর্বোচ্চ টুকু দিয়ে খেলে যাব ইনশাল্লাহ এক সময় জাতীয় ক্রিকেট দলে, চট্টগ্রামের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করবো এটাই আমার ভাবনায়।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:/আমিরুল ইসলাম
Leave a Reply