নিমপাতা :
নিমপাতায় আছে বসন্ত রোগের প্রতিষেধকতার গুণ। অনেক অসুখের আক্রমণ থেকে নিমপাতা শরীরকে বাঁচায়। নিমপাতার আছে জীবাণুনাশক ক্ষমতা। নিম তো গুণী গাছ। নিমের গুণ কে না জানে। নিম –বেগুন বসন্ত বাঙালিদের অতিপ্রিয়।
আয়ুর্বেদ মতে :
নিমপাতা বাতবর্ধক, চোখের পক্ষে ভাল, কৃমি, পিত্ত, চুলকুনি (কন্ডু), কুষ্ঠ ও ব্রণ এর জন্য খুবই উপকারী। খাদ্য হিসেবেও নিমপাতার উপকারিতা আছে। উপাদান ও লোহা অন্য শাকের চেয়ে বেশি আছে।
নিমাপাতাকে অ্যানটিসেপটিক বলা হয়। নিমের কীটনাশকতার এবং অন্যান্য নানা গুণ আজও বিদেশেও স্বীকৃত। সেই জন্য আমাদের দেশী নিম গাছ আজ বিদেশেও কদর পাচ্ছে। আগে যখন জমি জায়গার অভাব ছিল না তখন বলা হত বাড়িতে একটা নিম গাছ থাকা ভাল। বলা হয় নিম গাছের ডাল আন্দোলিত করা হাওয়ায় এমনকী নিম গাছের ছায়াও আছে অনেক গুণ। সেই হাওয়া গায়ে লাগলে ও উপকার হয়।
সুস্থ থাকতে নিমের প্রযোগ :
১। বসন্তকালে নিমপাতা ভাজা খেলে হাম, বসন্ত ইত্যাদি হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।
২। পাকস্থলীর গন্ডগোলের জন্যে বদহজম হলে অল্প পরিমাণে নিম গাছের ছাল অল্প পরিমাণ গরম পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে সেই পানিটা ছেঁকে খেলে উপকার পাওয়া যাবে।
৩।যাঁরা ডায়বেটিসে ভুগছেন তাঁরা প্রতিদিন সকালে আট দশটা নিমপাতা চার -পাঁচটা গোলমরিচ সহ চিবিয়ে খেলে এবং খাওয়া-দাওয়া সংক্রান্ত সব বিধি-নিষেধ মেনে চললে রক্তে শর্করার মাত্রা কমবে।
৪। অল্প পরিমাণে (প্রায় ছয় ফোঁটা) নিমপাতার রস একটু দুধে মিশিয়ে খেলে দৃষ্টি শক্তির উন্নতি হবে –অস্পষ্ট বা আবছা দেখা চোখে পিচুটি –সবেতে উপকার পাওয়া যাবে।
৫। লিভারে ব্যথা হলে সামান্য পরিমাণে নিমের ছাল তার অর্ধেক পরিমাণে কাঁচা হলুদ এবং নিমপাতার সব পরিমাণে আমলকির গুঁড়ো একসঙ্গে মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যাবে।
৬। ফোড়ায় কষ্ট পেলে নিমগাছের গুকনো ছাল যাকে হিন্দিতে ‘নিম চৌলি’ বলে (কবিরাজি দোকানে পাওয়া যায়)। জল দিয়ে চন্দন-শিলে ঘষে লাগালে ফোঁড়া সারবে।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি:শাকিল আহমেদ
Leave a Reply