চলে গেলো ঈদুল আজহা। সৃষ্টিকর্তার উদ্দেশ্যে পশু কোরবানির মাধ্যমে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যে দেশের মুসুল্লীরা পালন করলো দিনটি। তবে নির্দিষ্ট করে দেয়া স্থানে পশু কোরবানি দিতে আগ্রহী দেখা যায়নি জনসাধারনকে।
এ বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র সাঈদ খোকন বলেছেন, পর্যাপ্ত ব্যবস্থাপনা থাকলেও নির্ধারিত স্থানে কোরবানি দেয়ার ক্ষেত্রে নগরবাসীর তেমন সাড়া পাওয়া যায়নি। হতাশা ব্যক্ত করে তিনি বলেন, আমরা ছয়শটির মতো নির্ধারিত স্থান করে দিয়েছি। পর্যাপ্ত ব্যবস্থাপনাও ছিল। কিন্তু এ পর্যন্ত আমরা সেভাবে নগরবাসীর সাহায্য পাইনি।
বুধবার দুপুরে ধোলাইখাল সংলগ্ন কাউয়ারটেক পশুরহাটে কোরবানি পশুর বর্জ্য অপসারণ কাজের উদ্বোধন করেন ডিএসসিসি মেয়র সাঈদ খোকন। নগরবাসীকে তিনি অনুরোধ করে বলেন, আমাদের ব্যবস্থাপনা রয়েছে, আপনার নির্ধারিত স্থানে পশু জবাই দিন।
সাঈদ খোকন বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দুই সিটি কর্পোরেশন এলাকায় কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ করা হবে। বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম নগরবাসীর সহযোগিতা চেয়ে তিনি বলেন, কোথাও কোনো ধরনের বর্জ্য পড়ে থাকতে দেখলে আপনারা আমাদের নির্ধারিত কল সেন্টারে ফোন করে জানাবেন। আমাদের নম্বর হচ্ছে ০৯৬১১০০০৯৯৯।
মেয়র বলেন, গত বছর আমরা প্রায় ২০ হাজার টন বর্জ্য অপসারণ করেছি। এবারও এ পরিমাণ বর্জ্য অপসারণ করার জন্য আমাদের সার্বিক প্রস্তুতি রয়েছে। দুই সিটি কর্পোরেশন ঘোষিত সময়ের মধ্যে আমরা একটি পরিচ্ছন্ন নগরী উপহার দেব।
এদিকে, কোরবানির বর্জ্য অপসারণ শুরু করেছে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন। আগে থেকেই ঘোষণা ছিল ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাজধানীর কোরবানি পশুর বর্জ্য অপসারণ করা হবে। সেই অনুযায়ী দুপুর ২টা থেকে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ শুরু করেছে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন।
অন্যদিকে একই সময়ে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) প্যানেল মেয়র জামাল মোস্তফা উত্তরা ১৫ নম্বর সেক্টরের ২ নম্বর ব্রিজের কাছে পশুরহাটের বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
ডিএনসিসির প্যানেল মেয়র জামাল মোস্তফা বলেন, আমরা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সব বর্জ্য আপসারণ করবো। আমাদের কার্যক্রম সঠিক নিয়মেই হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমি নগরবাসীর কাছে আবেদন জানাতে চাই আপনাদের সচেতনতা এবং সার্বিক সহযোগিতার মধ্যে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানি পশুর বর্জ্য অপসারণের মধ্যদিয়ে একটি পরিচ্ছন্ন নগরী ঢাকাবাসীকে উপহার দিতে চাই।
সৃষ্টিকর্তার উদ্দেশ্যে পশু কোরবানি দেয়া ঈদের দিনটিকে মহিমান্বিত করে। তবে আমাদের এদিকটাও খেয়াল রাখতে হবে, আমাদের নগরী যেন অপরিচ্ছন্ন হয়ে না যায়। একটু সচেতন হলেই বিষয়টি এড়িয়ে চলা সম্ভব। তা না হলে দুর্গন্ধ কিংবা রোগজীবাণুতে ভুক্তভোগী হতে হবে আমাদেরই।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ ও এস
Leave a Reply