ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে সাক্ষাৎকার দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সাক্ষাৎকারে আসন্ন নির্বাচনে অংশ নেয়ার সকল প্রস্তুতি বিএনপির আছে বলে জানান তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নির্বাচনে অংশগ্রহণে আমাদের সব প্রস্তুতি রয়েছে। কিন্তু আমাদের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড দরকার, যা এখন নেই। আমরা তাই নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি জানাচ্ছি। আমরা আমাদের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, কোনও রাজনৈতিক দলের অধীনে নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না।’
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, এই প্রথম বিএনপি জাতীয় নির্বাচন নিয়ে স্পষ্টভাবে নিজেদের অবস্থান জানিয়েছে। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা আশা করছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারও।
বার্তা সংস্থাটি জানায়, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে নির্বাচনকে ঘিরে প্রায়ই আন্দোলন ও সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। ডিসেম্বরের নির্বাচনেও সহিংসতার আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিএনপির নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতা কারাগারে রয়েছেন।
এরআগে, ২০১৪ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি তুলে জাতীয় নির্বাচন বয়কট করেছিল বিএনপি। ২০০৯ সাল থেকেই ক্ষমতায় আছে আওয়ামী লীগ। এখনও তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মেনে নেয়নি।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের রাজনীতিতে শেখ হাসিনা-খালেদা জিয়া বৈরী সম্পর্ক অনেকদিনের। ফেব্রুয়ারিতে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয় খালেদা জিয়াকে। তার ছেলে তারেক রহমানকে দেওয়া হয় ১০ বছরের জেল। এছাড়া বিএনপির আরও বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতা জেলে রয়েছেন।
এ প্রেক্ষিতে মির্জা ফখরুল রয়টার্সকে জানান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের সঙ্গে আলোচনা করেই ঠিক করা হবে প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হিসেবে এবার কে লড়বেন।
রয়টার্স আরও জানায়, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে শুরু হওয়া মাদকযুদ্ধে অনেক বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ পাওয়া গেছে। জুলাই থেকে শুরু হওয়া এই মাদক বিরোধী অভিযানে অন্তত ২০০ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। সম্প্রতি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়েও বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে সাংবাদিকরা এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন ও সংশোধনের দাবি তুলেছেন। তাদের মতে এই আইনের কারণে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হবে।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ মোঃ মোস্তফা কামাল
Leave a Reply