গতকাল শনিবার সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক মতবিনিময়সভা আয়োজন করা হয়। তাতে বক্তব্য রাখেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফখরুল বলেন , কিছু ত্যাগ স্বীকার না করলে বৃহত্তর ঐক্য কখনোই হবে না। আমরা বৃহত্তর ঐক্যের চেষ্টা করে যাচ্ছি। গোটা দেশ এটাই চায়।
‘গ্রেটার ইউনিটির জন্য ছাড় দিয়ে আমাদের আজকে একটা না একটা জায়গায় আসতে হবে। অন্য যাঁরা আছেন তাঁরাও বোঝেন এটা ছাড়া কোনো মুক্তি নেই। আমরা বিশ্বাস করি, অতি দ্রুত জাতীয় ঐক্য ইনশাআল্লাহ প্রতিষ্ঠিত হবে এবং সমগ্র জাতি স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে জাতিকে মুক্ত করবার জন্যে, গণতন্ত্রকে মুক্ত করবার জন্যে এবং দেশনেত্রীকে মুক্ত করবার জন্যে আন্দোলন করবে।’
জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের উদ্যোগে ‘রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধাদের করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময়সভাটির উদ্বোধন করেছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আপনাদের মাঝে একটা ভুল ধারণা কাজ করছে, সেটি হলো অনেকে বলে থাকেন খালেদা জিয়াকে ছাড়া আলোচনার কথা। এটা আপনাদের ভুল ধারণা। খালেদা জিয়ার মুক্তি বাদ দিয়ে কোনো আলোচনা নয়। সবাই তাঁর মুক্তির জন্য আন্দোলন করছে। বি চৌধুরী নিজেই বিবৃতি দিয়ে খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করেছেন।’
সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে ২০ দলীয় জোটের নেতা কাজী জাফর আহমদের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনাসভায় ফখরুল বলেন, ‘আমরা পরিষ্কার করে বলেছি, নির্বাচন তখনই হবে যখন নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হবে। অর্থাৎ দেশনেত্রী বাইরে থাকবেন। সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে এবং একটি নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন করতে হবে। সংসদ ভেঙে দিতে হবে, নির্বাচন কমিশনকে যোগ্য মানুষ দিয়ে পুনর্গঠিত করতে হবে এবং নির্বাচনের সময়ে সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে।’ জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) এই আলোচনাসভার আয়োজন করে। কাজী জাফরের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন আন্দোলনে তাঁর বর্ণাঢ্য জীবনের কিছু স্মৃতিও তুলে ধরেন একসময়ের বাম ঘরানার নেতা মির্জা ফখরুল।
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে বিএনপির খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার দাবী কতটা বাস্তবসম্মত, সে উত্তর সময়ের হাতেই। তারা তাঁদের নেত্রীকে সঙ্গে নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় নামতে পারবেন কি-না, এখন সেটিই দেখার বিষয়।
অনলাইন বাংলা নিউজ বিডি :/ এম ইউ
Leave a Reply